বিদ্যুৎখাতে বিদেশি বিশেষজ্ঞ নির্ভরতা বাড়ছে

দক্ষ জনবল না থাকায় বিদ্যুৎখাতে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপর নির্ভরতা বাড়ছে। এটা কমিয়ে আনা জরুরি।
সোমবার বাংলাদেশ জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল (ইপিআরসি) আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় বড় চ্যালেঞ্জ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা। যেভাবে উৎপাদন বাড়ছে সে তুলনায় বিশেষজ্ঞ তৈরি হচ্ছে না। ফলে কারিগরি সহায়তার জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েই চলেছে। এটি কমিয়ে আনা জরুরি।
সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম. বলেন, আমরা চিন্তার বিকাশ চাই। এ জন্য গবেষণার বিকল্প নেই, আর গবেষণায় দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষ থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমরা গবেষণা করে কৃষিতে অনেক মঙ্গল বয়ে এনেছি। বিদ্যুতেও একই ভাবে সফলতা অর্জন করতে পারবো। এ জন্য সবার  অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আমাদের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ যুবক। এতো বিশাল সম্ভাবনাময় জনগোষ্ঠি অনেক কম দেশে রয়েছে।
প্রকৌশলী ড. আরশাদ মনসুর বলেন, এখন বাংলাদেশকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানিখাতের মানব সম্পদ উন্নয়নে। অনন্ত  গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত যতটা সম্প্রসারিত হয়েছে সেভাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হয়নি। বিশ্বে এক বিলিয়ন মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ থেকে এখনও বঞ্চিত। সেই দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থা খুব ভাল। সরকার বিদ্যুৎ জ্বালানিখাতের উন্নয়নের জন্য জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল, পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনিস্টিটিউট গঠন করা ছাড়াও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে।
ইপিআরসির চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনিস্টিটিউট এর পরিচালক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
সেমিনারে জানানো হয়, এখন দেশে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। আগামী ২০২১ সালে এই ক্ষমতা পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বাড়বে। ক্রমান্বয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫ হাজার মেগাওয়াটে গিয়ে দাঁড়াবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেয়া হচ্ছে হরহামেশাই। শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন নয়, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতেরও ছোট ছোট সমস্যার সমাধান দেশিয় প্রকৌশলীরা করলেও প্রায় সব কাজই করে থাকে দেশের বাইরের প্রকৌশলীরা।