সৌর বিদ্যুতে প্রনোদনা দেয়া হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাচ্ছে। এজন্য গ্যাসের দামও কমে যাচ্ছে। তেল ও গ্যাসের দাম কমার কারণে বিশ্বজুড়ে সৌর বিদ্যুতের প্রতি অনিহা তৈরী হয়েছে। সৌর বিদ্যুতের দামও বেশি। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে এই উচ্চমূল্যের বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানো একটা চ্যালেঞ্জ। এজন্য সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রনোদনা দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। স্রেডার মাধ্যমে এই প্রনোদনা দেয়া হবে।

বৃহষ্পতিবার রাজধানির ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) আয়োজিত নবায়নযোগ্য শক্তির উন্নয়ন বিষয়ক ৪র্থ আর্ন্তজাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদুর রহমান খান। সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রিজওয়ান খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউআইইউ এর সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক সদরুল ইসলাম, অধ্যাপক এস এম লুৎফুল কবির ও অধ্যাপক ড. রাকিবুল মোস্তফা।

uiu minister 1
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছরে বিদ্যুৎখাতে ১৩ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। এই অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য দেশে যথেষ্ট দক্ষ জনবল নেই। দক্ষ জনবল তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ৪৪ লাখ সৌর প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। গ্রামে এই বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি। গ্রামে চাহিদা বেশি বলে সেখানে প্রসারও বেশি। তিনি বলেন, জ্বালানি ব্যবহারে আগের চেয়ে সচেতনা বেড়েছে। আরও সচেতন হবে হবে। বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত ভালভাবে পরিচালনা করতে দক্ষ জনবল তৈরী করতে হবে। এজন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রতিষ্ঠানে ইর্ন্টানি করার সযোগ দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে।
ফরিদুর রহমান খান বলেন, অধুনিক বিশ্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ফসিল জ্বালানিতে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এই দূষণ রোধ করতে হলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বে মোট বিদ্যুতের ২৩ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে উৎপাদন করা হয়। ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে মোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে করা হবে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য শক্তির উন্নয়ন অর্থনৈতিকভাবে কিভাবে লাভবান হবে তা নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা করা হয়।
তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, নেপাল, ভারতসহ ১০টি দেশের গবেষক ১৩৪ টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করবেন।