সুন্দরবনের পাশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রর প্রতিবাদে গান, নাটক

সুন্দরবনের পাশে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত হলো প্রতিবাদী গান ও নাটক। তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্ত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ  ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিবাদী গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা। গণসঙ্গীতের মাধ্যমে সুন্দরবন এবং দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার আহবান জানান উদীচীর শিল্পীরা। উদীচী’র পর পথনাটক নিয়ে মঞ্চে আসে ‘এই বাংলায়’। পরে পর্যায়ক্রমে সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন, বিবর্তন নাট্যগোষ্ঠী, সমগীত, চারণ, লীলা সাংস্কৃতিক সংগঠন এতে অংশ নেয়। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন কৃষ্ণকলি, কফিল আহমেদসহ খ্যাতনামা শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সুন্দরবন আজ ভয়াবহ আক্রমণের মুখে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক বিকল্প থাকলেও সুন্দরবনের কোন বিকল্প নেই। সকল বিধি মেনে, জাতীয় স্বার্থ নিশ্চিত করে, স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং জনসম্মতি নিশ্চিত করে বাংলাদেশের অন্যত্র এরকম বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে পারে। এই কেন্দ্র থেকে যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তার চাইতে বেশি বিদ্যুৎ, ২০ ভাগের ১ ভাগ অর্থে, বিদ্যমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেরামত ও নবায়ন করেই পাওয়া সম্ভব। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার বৃহৎ উদ্যোগ ধ্বংসযজ্ঞ না করে বিদ্যুৎ পাওয়া নিশ্চিত করতে পারে। সমুদ্র ও স্থলভাগের গ্যাস সম্পদ জাতীয় স্বার্থ নিশ্চিত করে অনুসন্ধান ও উত্তোলন করলে বৃহৎ গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সম্ভব।
বক্তারা বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, সুন্দরবন তার অসাধারণ জীববৈচিত্র দিয়ে সারাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে, লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকার সংস্থান করে, আবার প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাঁচায়। দেশবাসীর প্রতিবাদ, ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা উপেক্ষা করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, ভূমিদস্যুদের দখল সাম্রাজ্য নির্মাণের আয়োজন চলছে।