সিস্টেম লস আরও কমিয়ে আনতে হবে: নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে ডিপিডিসির সিস্টেম লস আরো কমিয়ে আনার পাশাপাশি আয়ের উৎস বাড়াতে হবে। ট্রান্সফরমার রক্ষণাবেক্ষণ, সাবস্টেশনের নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। বর্তমানে ডিপিডিসির সিস্টেমলস ৯ দশমিক ৪ শতাংশ।
“উন্নত প্রশিক্ষণ আলোকিত কর্মজীবন” এই শ্লোগোনকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবারো প্রশিক্ষণ সপ্তাহ-২০১৬ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচী চলতে আগামী ১০ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল হাসানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিপিডিসির পরিচালক (অপারেশন) হারুণ উর রশীদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাহক সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি আয়ের উৎস বাড়াতে হবে।  ডেসকোর পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির হয়েছে। ডিপিডিসিকেও সেদিকে যেতে হবে। সাবস্টেশন অপরিচ্ছন্ন ও জরাজীর্ণ রাখা চলবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিপিডিসির আওতাধীন রাজধানীর সব সাবস্টেশন পরিবর্তন আনতে হবে। সব স্টেশনগুলোর ছবি তোলা হবে। কোনো স্টেশন অপরিস্কার রাখা চলবে না। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব স্টেশনগুলোকে পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি এসব স্টেশনগুলোতে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ ফাঁকি দিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি স্টেশনগুলোর নিরাপত্তার জোরদার করতে বলেন তিনি। তিনি ট্রান্সফরমার রক্ষণাবেক্ষণ করার বিষয়ে ডিপিডিসিকে উদ্যোগ নিতে বলেন। পাশাপাশি ট্রান্সফরমারসহ যন্ত্রপাতির হিসেব রাখার পরামর্শ দেন। কাগজবিহীন অফিস করার বিষয়ে ডিপিডিসিকে কাজ শুরু করতে বলেছেন। আগামী  এক সপ্তাহের মধ্যে ডিপিডিসির উন্নয়নে আরো পরিকল্পনা করে তা প্রতিমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে তিনি। নসরুল হামিদ তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগাতে কোম্পানিগুলোকে তরুণ প্রকৌশলীদের ইন্টার্নশীপ করানোর বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলেন।
আগামী ২০ বছরে দেশে বিদ্যুতের ঝুলন্ত তার থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের পুরো চেহারা পাল্টে যাবে। রাস্তার ওপর দিয়ে কোনো ঝুলন্ত তার দেখা যাবে না। কিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে, কেউ বলতে পারবে না। পরিবর্তন হচ্ছে; বাংলাদেশ পরিবর্তন হবে বলেও উল্লেখ করেন তিন।
অনুষ্ঠানে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সেবার মান বাড়াতে হলে দক্ষ জনবল প্রয়োজন। এজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ডিপিডিসি গত তিন বছর ধরেই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। পাশাপাশি অফিসকে কাগজবিহীন করতে কাজও শুরু করেছে। ডিপিডিসির অধিকাংশ অফিসিয়াল ফাইল এখন ই-মেইলে আদান-প্রদান করা হচ্ছে। আগামীতেও প্রযুক্তি নির্ভর করে ডিপিডিসির সব কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।