সিলেটের গ্রামে বিদ্যুৎ দিতে দেড় হাজার কোটি টাকা

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা বহনে পশুর নদী খনন ও সিলেটের গ্রামে বিদ্যুৎ দিতে দুই প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। সিলেট বিভাগের গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ দেয়া হবে। আর কয়লা বহনের জন্য পশুর নদীতে ১৩ কিলোমিটার খনন করা হবে।
আজ মঙ্গলবার শেরে-বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিলেট বিভাগের গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ দিতে প্রায় দেড় কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। সিলেট বিভাগের পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও আরইবি’র সদর দফতরে ভৌত সুবিধা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই কাজ করা হবে। এতে মোট খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৪১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নৌ-পথে কয়লা পরিবহনের সুবিধার নব্য বাড়াতে নদী খনন করা হবে। এজন্য ১৩ কিলোমিটার নদী খননের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। একনেকে এই ১৩ কিলোমিটার নদী খননের জন্য ১৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মংলা বন্দরের নয় নম্বর জেটি থেকে উজানে এই খনন করা হবে। ‘মংলা বন্দর থেকে রামপাল পর্যন্ত পশুর নদীর চ্যানেল ক্যাপিটাল ড্রেজিং’ প্রকল্পের আওতায় এই কাজ সনকরা হবে।
বৈঠকে পাঁচ হাজার ৭২৭ ৪০ লাখ টাকার সাতটি উন্নয়ন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদেও বলেন, এসব প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে দুই হাজার ৭৬৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা সরকার দেবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে নয় কোটি ৯৯ লাখ এবং ঋণ পাওয়া যাবে দুই হাজার ৯৪৮ কোটি ছয় লাখ টাকা।