বিবিয়ানায় দু’টি ক্লিনিকে আম্বুলেন্স দিয়েছে শেভরন বাংলাদেশ

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের কাছাকাছি দুটি সূর্যের হাসি ক্লিনিকের জন্যে একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছে শেভরন বাংলাদেশ।
শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট কেভিন লায়ন আনুষ্ঠানিকভাবে আম্বুলেন্সটির চাবি তুলে দেন।
দুটি ক্লিনিক ছাড়াও কোম্পানিটি মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের কাছাকাছি অন্য আরেকটি ক্লিনিককে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।  শেভরন তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ৩৪টি স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে ২০১৪ সালে এলাকাবাসীকে ১ লক্ষ ৭ হাজারেরও বেশী স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক এনজিও পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল এর বাস্তবায়নে এবং ইউএসএইডের পৃষ্ঠপোষকতায় এই ক্লিনিকগুলো দেশব্যাপী সূর্যের হাসি প্রোগ্রামের অধীনে চলমান আছে।
ক্লিনিকগুলো মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা, পরিবার-পরিকল্পনা, টিকা, আলট্রা-সোনোগ্রাম এবং সাধারণ ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেবাসমূহ প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় অধিবাসীদের দোরগোড়ায় মানসম্মত ও সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা গ্রহনের সুযোগ করে দিয়েছে। যেসব রোগীদের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের এখনও শহরের চিকিৎসা কেন্দ্র যেমন সিলেটের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং এক্ষেত্রে নতুন অ্যাম্বুলেন্সটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে লিপিড
প্রোফাইল ও রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত একটি সেমি অটোমেটিক বায়ো-কেমেস্ট্রি অ্যানালাইজার সহ ২৩০০০ ডলার মূল্যের বিভিন্ন ল্যাবরেটরি যন্ত্রপাতি দেয়া হয়েছে।
পরে লায়ন ক্লিনিকটি পরিদর্শন করে এবং ডাক্তার ও ক্লিনিকের কর্মচারীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পাথফাইন্ডার এর ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ডেলিভারি প্রকল্পের (NHSDP) চীফ অফ পার্টি হালিদা আখতার, স্থানীয় পার্টনার-এনজিও সিলেট সমাজ কল্যাণ সংস্থার (SSKS) সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ, শেভরন বাংলাদেশ এর এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স পরিচালক নাসের আহমেদ এবং কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার ওবায়দুল্লাহ আল-ইজাজ।  লায়ন বলেন, আমি ক্লিনিকগুলোর বিবিয়ানার অধিবাসীদেরকে মানসম্মত এবং সাশ্রয়ী স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার কার্যকারিতা দেখে বিস্মিত হয়েছি। আমি এই উদ্যোগ সফল করার জন্যে আমাদের সহযোগী এনজিও এবং এলাকাবাসীদের আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি জানতে পেরেছি যে ২০০৫ সালে যখন বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের উন্নয়ন হচ্ছিল তখন স্বাস্থ্যসেবার মান স্থানীয় অধিবাসীদের জন্যে একটি উদ্বেগের বিষয় ছিল। এ ক্লিনিকগুলো স্থাপন করে শেভরন একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানে সহায়তা এবং এর মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে মিলেমিশে একযোগে
কাজ করার আমাদের যে নীতি তা সমুন্নত রাখতে পারায় আমি গর্বিত। আখতার বলেন এই অ্যাম্বুলেন্স বিবিয়ানা এলাকার অধিবাসীদেরকে কেবল এই ক্লিনিকে সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রেই সহায়তা করবেনা, বরং অন্যান্য কেন্দ্রগুলো থেকে তৃতীয় মাত্রার সেবা নিতেও সহায়তা করবে। এই উদ্যোগ এলাকার সকলের, বিশেষ করে গর্ভবতী মা, নবজাতক ও অসুস্থ শিশুদের জীবন রক্ষায় অবদান রাখবে।”