শিল্পে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জরিপ হচ্ছে

বাংলাদেশে জ্বালানির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ কর্মসূচী শুরু করেছে বাংলাদেশের নর্ডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এনসিসিআই)। বৃহস্পতিবার ডেনমার্ক দূতাবাসের অধীনে ডেনিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির  (ডেনিডা) সাথে যৌথভাবে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়।
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে কার্যকর জ্বালানি ব্যবস্থপনা ও প্রযুক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এনসিসিআই। এর ফলে জ্বালানি ব্যয় ও এর ব্যবহারের পরিমাণ কমে আসবে।
কর্মসূচির অর্থায়ন করবে ডেনিডা। বাস্তবায়ন করবে এনসিসিআই। কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে জরিপ করা হবে। জরিপ শেষে ঐ প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেয়া হবে তারা কী করলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব বলে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. ঘানে ফল ইকজার, এনসিসিআই প্রেসিডেন্ট শামীম উল হকসহ অন্যরা বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, পরিবেশ-বাল্পব্দব অগ্রগতির জন্য পরিবেশ-বান্ধব ব্যাংকিং প্রয়োজন। কিন্তু বেশিরভাগ ঋণ গ্রহীতারই পরিবেশ-বান্ধব অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা নেই।

energy
এনসিসিআই প্রেসিডেন্ট শামীম উল হক বলেন, ডেনিডার সাথে পরিচালিত এই কর্মসূচি শুধু আজকের জন্যই লাভজনক নয়, বরং আগামী দিনের জন্যও প্রস্তুত করছে। এনসিসিআই স্থিতিশীলতায় বিশ্বাসী এবং স্থিতিশীল বাণিজ্যিক আবহ তৈরি করতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, কর্মসুচির সাফল্য নির্ভর করবে সদস্যদের সদিচ্ছা এবং বাণিজ্যিক পরিস্থিতির ওপর। কার্যকর জ্বালানি ব্যবস্থাপনাটি অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. ঘানে ফল ইকজার বলেন, কর্মসূচিটির উদ্দেশ বাংলাদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীল অগ্রগতি নিশ্চিতের পাশাপাশি এদেশে ডেনমার্ক ও নর্ডিক কোম্পানিগুলোর ইতিবাচক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে শিল্পের বিকাশে কার্যকর জ্বালানি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। কারণ এর ফলে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গম ও জ্বালানির ব্যবহার কমার পাশাপাশি টেকসই পণ্য উৎপাদিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মিনারেল রিসোর্সেস’র বিভাগীয় প্রধান ড. এম. তামিম, ডেনিডার সিনিয়র অ্যাডভাইজর ও এনসিসিআই’র থ্রিই’র বিজনেস কোঅর্ডিনেটর স্টিফেন স্টারে ইনেভোলডেসেনসহ বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও কর্মকর্তা, বাংলাদেশের এপেক্স ট্রেড বডি’র প্রেসিডেন্ট ও জেনেরাল সেক্রেটারি, কয়েকটি যৌথ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট, বিভিন্ন স্থানীয় ও বহুজাতিক কোম্পানির সিইও উপস্থিত ছিলেন।