রূপপুর পরমানু বিদ্যুৎকেন্দ্রে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে পরিবেশ ও প্রতিবেশের  ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই। এ কেন্দ্র স্থাপনে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া এ কেন্দ্রের জ্বালানি পরিবহণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার সম্মেলন কক্ষে ‘পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প : পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাশিয়ার অনলাইন নিউজ পোর্টাল  ‘নিউক্লিয়ার ডট আরইউ’ এর প্রধান সম্পাদক ইলিয়া প­াতোনভ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, রাশিয়ার রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠান রোসাটম, এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট (এএসই) যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।
সভায় পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুলকারনাইন, নভোথিয়েটারে মহাপরিচালক আবুল বাশার মো. জহিরুল ইসলাম, রোসাটমের এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের কমিউনিকেমন ম্যানেজার আর্কাডি করনিয়েভ, এএসই’র কমিউনিকেশন বিভাগের সের্গেই ঝুরালভ, রোসাটমের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ফিলিপ কসোভ বক্তব্য রাখেন।
মোহাম্মদ জুলকারনাইন বলেন, নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটরের ডাইমেনশন হয়ত বড়। কিন্তু নিউক্লিয়ার টেকনোলজির বিষয়টি কীভাবে পরিচালনা করতে হয় আন্তর্জাতিক কমিউনিটির সঙ্গে, তা কিন্তু আমরা জানি। এটা আমাদের জন্য নতুন কিছু না। রাশিয়ান ভিভিআই রিঅ্যাকটরগুলো খুব ভাল। আমরা সেগুলোই নেব। তিনি বলেন, জাপানের ফুকুসিমা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্ঘটনা ঘটলেও কেউ কিন্তু মারা যায় নি। তেজস্ক্রিয় জ্বালানির বিষয়ে বলেন, দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মূল প্রবন্ধে প­াতোনভ বলেন, রাশিয়ায় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার হয়, রূপপুরেও তা ব্যবহার হবে।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ‘মাইলফলক’ তৈরি হচ্ছে। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়ে রোসাটমের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা জানান এবং বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেন তিনি।
আর্কাদি করনিয়েভ বলেন, পারমাণবিক শক্তি প্রকল্প সম্পর্কে জনগণের কাছে সঠিক ব্যখ্যা তুলে ধরতে বাংলাদেশ সঠিক পথে এগুচ্ছে। আমরা এখানে বিশেষ করে রূপপুর ও বিপি প্রকল্প সম্পর্কে জানাতে তথ্য কেন্দ্র চালু করতে যাচ্ছি।
রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ঈশ্বরদীর রূপপুরে ২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই ইউনিটের একটি পরমানু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। গত বছরের ডিসেম্বরে অ্যাটমস্ট্রয় এ·পোর্টের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।