রামপাল বিদ্যুৎ নিয়ে আর আলোচনা বাড়ানো উচিত নয়: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এটি নিয়ে আর আলোচনা বাড়ানো উচিত না। এখন যত দ্রুত সম্ভব এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। এটিসহ অন্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত না হলে ভবিষ্যতের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারবো না। পদ্মা সেতু শেষ হলে দক্ষিণাঞ্চলে যে উন্নয়ন হবে, তখন ওই অঞ্চলেই ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। তখন ওই আঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় আরও বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে হবে।
শনিবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন-পরিবেশ ও প্রতিবেশ এবং রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভূমিকা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন।
রামপাল নিয়ে যারা আন্দোলন করছে এবং এ বিষয়ে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব, তাদের অধিকাংশের সঙ্গে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, এমন মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি গোষ্ঠী কোন ভাবেই চায় না যাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াক।
সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ এ আরাফাতের পরিচালনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জ্বালানী বিশেষজ্ঞ সূফি সালেক। তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে নেতিবাচক কোনো বিষয় পাওয়া যায়নি। এটি সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর হবে না। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ইউনোস্কোর দেয়া রিপোর্টও বিজ্ঞানসম্মত নয়।
বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, সুন্দরবন নিয়ে আজকে যে অবস্থা তা সরকারেরই কারনে হয়েছে। সরকার যে ইআইএ করেছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের। সুন্দর বনের মতো স্থানে এই ধরনের প্রকল্পের জন্য বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান দিয়ে ইআইএ তৈরি করা উচিত ছিলো। কিন্তু সরকার সেটি করতে পারেনি। প্রাথমিক কাজটি যখন সরকার সুষ্ঠু ভাবে করতে ব্যর্থ হয়েছে, তখন রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলছে, তা যে সুষ্ঠুভাবে হবে সে বিষয়ে মানুষ নিশ্চিত হতে পারছে না। এটা পর্যবেক্ষনের জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয় কি সক্ষম? পরিবেশ অধিদপ্তর দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য বিষয়ে শতভাগ পর্যবেক্ষন করতে পারলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হতে পারে।
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন পানি বিশেষজ্ঞ আঞ্জুমান ইসলাম, পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউটের ড. আশিকুর রহমান, ড. আনসারুল করিম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক ইলাহী বক্তব্য রাখেন।