রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অনিশ্চিত

রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবে কিনা তার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সিএনজি স্টেশনগুলো ৭ ঘণ্টা বন্ধ রাখা, ১৫ রোজা পর্যন্ত রাত আটটার পর বিপণি বিতান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪ নম্বর ইউনিটের সংস্কারের বিষয়ে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে পিডিবি। এ সময় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম ও পিডিবির চেয়ারম্যান শাসমুল হাসান মিয়া  বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান শেষে নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে একশ ভাগ নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতির জন্য আরো দুই থেকে তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে।  বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ ও সঞ্চালের কিছু সমস্যা আছে। সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর পরিস্থিতি ভাল থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, তবে রমজানে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বস্তির পর্যায়ে থাকবে। সিএনজি স্টেশন, সার-কারখানা ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে গ্যাস রেশনিং করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দেয়া হবে এবং আশা করা যায় চাহিদা মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় আবাসিক গ্রাহকদের এলপিজি গ্যাস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে নসরুল হামিদ আরো জানান, এরই মধ্যে গ্যাসের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে ২ হাজার মেগাওয়াট। তিনি গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান।
বিদ্যুৎ সচিব বলেন, অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কারণে জ্বালানি বিশেষ করে গ্যাসের অপচয় হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এই অদক্ষ ও পুরানো কেন্দ্রগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
চুক্তিতে পিডিবির সচিব জহিরুল হক এবং চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র“প-এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান ডিং ই স্বাক্ষর করেন। ঘোড়াশাল ইউনিট-৪ থেকে বর্তমানে ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। সংস্কারের পর একই পরিমাণ জ্বালানি ব্যবহার করে ৪০৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংস্কার কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ২২ মাস। এ প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংক ২১৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে।