মেঘনাঘাট বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে এসেছে

উত্পাদনে এসেছে মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুেকন্দ্রটি। পরীক্ষাম–লকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুত্ সরবরাহ শুরম্ন হয়েছে এই কেন্দ্র থেকে। খুব শিগগির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে পারেন বলে জানা গেছে।

এই কেন্দ্র স্থাপনে স্থানীয় ব্যাংক থেকে বেশির অংশ অর্থ সংগ্রহ করা হয়।  ২০১১ সালের ৫ই মে মেঘনাঘাট কেন্দ্র স্থাপনে পিডিবির সঙ্গে চুক্তি করে সামিট গ্রুপ।

সামিট পাওয়ারের মালিকাধীন গ্যাসভিত্তিক এই কেন্দ্রটি থেকে সরকার প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনবে তিন টাকা ১২ পয়সা দরে। বিদু্ৎকেন্দ্রটি স্থাপনের জন্য ২৭৫ মিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ কেন্দ্র স্থাপনে মোট ব্যয়ের মধ্যে ট্রাষ্ট ব্যাংক ২২ মিলিয়ন ইউরো, ইসলামী ব্যাংক ১৬ মিলিয়ন ডলার, সিটি ব্যাংক ৪৮ মিলিয়ন ডলার এবং ব্র্যাক ব্যাংক ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে।

প্রথম দিকে এই কেন্দ্র স্থাপনে অর্থ সংস্থানে জটিলতা দেখা দিলেও পওে তা সমাধান হয়। তবে অর্থায়নের সমস্যার কারণে বিবিয়ানা-১ বাতিল করা হয়। আর বিবিয়ানা ২ এর কাজ পিছিয়ে যায়। বর্তমানে এই কেন্দ্রটিতে জমি উন্নয়নের কাচ চলছে।

বিবিয়ানা-২ ৩৪১ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদু্ৎকেন্দ্রটির ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রটির গ্যাস টারবাইন আশুগঞ্জ নৌবন্দরে আসলেও নদীতে নাব্য না থাকায় বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের এলাকায় আনতে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ কেন্দ্রটির সিম্পল সাইকেল চলতি বছরের জানুয়ারিতে আসার কথা ছিল। আর কম্পাইন্ড সাইকেল ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে।

বিবিয়ানা গ্যাস ড়্গেত্রর গ্যাস দিয়ে এই কেন্দ্র চলবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করতে এখনো পাইপ লাইন হয়নি। পাইপ লাইন স্থাপন করার জন্য জারালাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন ও ট্রান্সমিসন কোম্পানির অনুমোদনের অপেড়্গায় আছে।

এদিকে অন্য যে সব বড় বিদ্যুত্ কেন্দ্র ২০১৪ সালে উত্পাদনে আসার কথা তার বেশির ভাগেরই এখনো সন্তোসজনক কোন অগ্রগতি হয়নি।  ২০১৪ সালের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্চ, আশুগঞ্চ ও ভোলা বিদ্যুত্ কেন্দ্র উত্পাদনে আসার কথা ছিল। এ তিনটি কেন্দ্ররই অর্ধেক কাজও হয়নি।

সিদ্ধিরগঞ্জ ৩৩৫ মেগাওয়া কেন্দ্রটি স্থাপনে ২০১২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর চুক্তি সাক্ষরিত হয়। কেন্দ্রটির সিম্পল সাইকেল মে মাসের মধ্যে উত্পাদনে আসার কথা। কিন্তু মার্চ পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ৫৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। আশুগঞ্জ ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি স্থাপনে ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর চুক্তি সাক্ষরিত হয়। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি জানায়, মার্চ পর্যন্ত ৩৩ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রটি ২০১৪ সালের নভেম্বরের উত্পাদনে আসার কথা রয়েছে। ভোলা ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল চুক্তি সাক্ষরিত হয়। সিম্পল সাইকেল চলতি বছরের নভেম্বরে আসার কথা। মার্চ পর্যন্ত্ম ৩০ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।