মানুষ উপভোগ করল সূর্যগ্রহণ

যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ উপভোগ করল সূর্যগ্রহণ। গত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছরের সূর্যগ্রহণ ছিল সবচেয়ে বেশি মনোমুগ্ধকর।সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে চাঁদ অবস্থান করায় শুক্রবার দিনের কয়েক মিনিট সময় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। তবে এই অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশের সৃষ্টি হয় শুধু ইউরোপের একটি অংশে। যার ফলে পৃথিবীর অন্য অংশের মানুষ এই সূর্যগ্রহণ ও অন্ধকারময়তা উপভোগ করতে পারেনি। বাংলাদেশেও এই সূর্যগ্রহণ দেখা যায়নি।
শুক্রবার এক খবরে বিবিসি জানায়, আন্তর্জাতিক সময় সকাল ৯টা ৪১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ৪১মিনিটে) পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। যুক্তরাজ্যের ফারো দ্বীপে বিমান থেকে সূর্যগ্রহণের বিরল দৃশ্য ধারণ করে বিবিসির ক্যামেরা।

sunnn

চাঁদের অপর পাশ থেকে সূর্যকিরণ তীর্যকভাবে ছড়িয়ে পড়ার কারণে মানুষকে গ্রহণ দেখার সময় সরাসরি সূর্যের দিকে না তাকাতে পরামর্শ দেওয়া হয়।নরওজিয়ান সমুদ্রতীর থেকে আন্তর্জাতিক সময় ৯টা ৪৬ মিনিটে প্রায় ৩মিনিট পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।বিবিসি জানায়, ইউরোপ মহাদেশের সব জায়গায় ৮৩ শতাংশ সূর্যগ্রহণ দেখা গেছে। মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া এবং আটলান্টিক উপকূলে আংশিক সূযগ্রহণ দেখা গেছে। তবে ঘন মেঘের কারণে কোথাও কোথাও তা দেখা যায়নি। নর্থ আটলান্টিক অঞ্চলে প্রথম পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয় এবং পরে তা উত্তর ইউরোপে দেখা যায়।২০২৬ সালের আগে ইউরোপে এ ধরনের সূর্যগ্রহণ আর দেখা যাবে না।

প্রফেসর গিলস হ্যারিসন বলেন, ১৯৯৯ সালের পর ব্রিটেনে এটাই সবচেয়ে বড় সূর্যগ্রহণ। ২০২৬ সালের আগস্ট মাসের আগে তা আর দেখার সম্ভাবনা নেই। সুতরাং এটাই ছিল বর্তমানে প্রজন্মের সূর্যগ্রহণ দেখার বড় সুযোগ।