ভারত বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে ৩৫৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে

ভারত বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে ৩৫৭ কোটি ডলার ঋণ দিতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এই ঋণ চুক্তি হতে পারে বলে জানা গেছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বিদ্যুৎ খাতের চারটি সমঝোতা সই হতে পারে।
ভারত যে ঋণ দেবে তা থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ৯৪০ মিলিয়ন ডলার, ভারতের ঝাড়খন্ড থেকে বাংলাদেশের বগুড়া পর্যন্ত বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন স্থাপনে ১৭৭ মিলিয়ন ডলার এবং সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১৫৭ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হতে পারে।
সমঝোতা চুক্তিগুলোর মধ্যে চুড়ান্ত পর্যায়ে আছে ত্রিপুরা থেকে আরো ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, নেপালে ভারতীয় কোম্পানি জিএমআর এর নির্মিতব্য জল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, ঝাড়খণ্ড আদানি গ্রুপের প্রস্তাবিত কয়লা
ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনা এবং বাংলাদেশ-ভারত-ভুটান-নেপাল চর্তুদেশীয় বিদ্যুৎ গ্রীড নির্মাণ।
এ বিষয়ে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন এনার্জি বাংলাকে বলেন, ত্রিপুরা থেকে বর্তমানে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ। নতুন করে আরো
৬০ মেগাওয়াট নিয়ে আলোচনা চুড়ান্ত পর্যায়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরে এটা চূড়ান্ত হলে আগামী ডিসেম্বর মাস নাগাদ বাড়তি ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ। তিনি জানান, ঝাড়খন্ডে আদানি গ্রুপ এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লা
বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ কেন্দ্রে উৎপাদিত পুরো
বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করার প্রস্তাব দিয়েছে আদানি। এজন্য আলাদা সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করবে আদানি।
আগামী ৭ এপ্রিল ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ সফরের সময় ত্রিপুরা থেকে আরো ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এজন্য বিদ্যুৎ বিভাগ সব ধরনের
প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সূত্র জানায়।
গত বছরের ৩১শে মার্চ ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করা হয়। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়ছে ৬ টাকা ২৬ পয়সা। নতুন ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎও
একই দামে আমদানি করা হবে।
নেপাল ও ভূটান থেকে বিদ্যুৎ সরাসরি বাংলাদেশে আনার কোনো সুযোগ নেই। এজন্য ভারতের ভূমি ব্যবহার করতে হবে।
এবিষয়ে সমঝোতা সই হতে পারে।