বিভিন্ন জ্বালানির বাস্কেট হবে বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেছেন, বিভিন্ন জ্বালানির বড় বাস্কেট করার লক্ষ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে কয়লা, গ্যাস, পারমানবিক শক্তি, পানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার করা হবে।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শক্তি ইনস্টিটিউট, অস্ট্রোলিয়ান এইড এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘নবায়ণযোগ্য বিদ্যুৎ শক্তি উন্নয়নে ফিড-ইন ট্যারিফ নীতিমালা প্রণয়ন’ শীর্ষক এ সেমিনারটির আয়োজন করা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, রূপকল্পের মধ্যে থাকবে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র, হাইড্রোলিক বিদ্যুৎ এবং নবায়নযোগ্য বিভিন্ন শক্তি। এছাড়া এলাকাভিত্তিক যোগাযোগের মাধ্যমেও কিছু বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। এভাবেই একটি বড় বাস্কেট নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। যার আওতায় এসেছেন দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে সরকার রূপকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
তিনি বলেন, উত্তরাধিকার সূত্রে গত সরকারের আমলে একটি জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পেয়েছি। ২০০৯ সালে দেশে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুতের আওতায় ছিলেন মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ।
শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনাকে চ্যালেঞ্জ উলে­খ করে তিনি বলেন, মাথাপিছু বিদ্যুতের খরচের পরিমাণ ৩০০ মেগাওয়াটের মতো। লক্ষ এটাকে এক হাজার কিলোওয়াটে উন্নীত করা।

উন্নত বিশ্বের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে যেখানে মাথাপিছু বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণ ১০ হাজার কিলোওয়াট, সেখানে আমাদের জন্য এক হাজার কিলোওয়াটের লক্ষ অর্জন মোটেই অসম্ভব নয়।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন্, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নবায়ণযোগ্য শক্তি দক্ষ জনবল তৈরির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শক্তি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল হক, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের(বিইআরসি) চেয়ারম্যান এ আর খান, বিইআরসি’র সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ, এশিয়া ফাউন্ডেশনের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের পরিচালক সৈয়দ আল-মুতী, কনসালন্ট্যান্ট অজিত পন্ডিত, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগ উইলকক।