বিদ্যুৎবিহীন সারাদেশ

ভেড়ামারা সঞ্চালন লাইন বিকল হয়ে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়। অন্ধকারে সারাদেশ। বিদ্যুৎ নাই গতকাল শনিবার বেলা ১১ টা ২৮ মিনিট থেকে। ওই সময় হঠাৎ করেই ভারত থেকে আসা ৪৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসা বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার কারণেই এই বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় চরম ভোগান্তির মুখে পড়ে সারাদেশের মানুষ। রাত নয়টার পর থেকে পর্যায়ক্রমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশালে আংশিকভােব বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।
এর আগে ২০০৭ সালে সিডরের সময় সারাদেশে একসঙ্গে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছিল।
সঞ্চালন লাইন বিকল হওয়ার পর একে একে বন্ধ হতে শুরু করে দেশের সব বিদ্যুৎকেন্দ্র। সবার আগে বন্ধ হয়ে যায় আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র। বন্ধ হওয়ার এক ঘন্টা পর ১২ টা ২৬ মিনিটে আবার বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এ সময় আরপিজিসিএল এর অধীন ময়মনসিংহের ৫৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হয়। এরপর বেলা তিনটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৫১৯ মেগাওয়াট। পরে সমন্বয় করতে না পারায় আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন কমতে শুরু করে। বিকেল ৪টার দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে ১০৪ দশমিক ৯৬ মেগাওয়াট হয়। এরপর সাড়ে ৪টার দিকে আবারো গ্রিড বিপর্যয়ের মুখে পড়ে সারাদেশ। এরপর পৌনে ৬টায় আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে পড়ে। রাজধানীসহ সারাদেশই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।
তদন্ত কমিটি:
কি কারণে বিদ্যুৎ বিপযয় হয়েছে তা জানতে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে দুইটি কমিটি করা হয়েছে। একটি বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আহমেদ কায়কাউয়াসকে প্রধান করে সাত সদস্যের এবং অন্যটি পিজিসিবির পরিচালক (অপারেশন) তপন কুমার রায়কে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে গ্রিড বিপর্যয় কি কারণে হয়েছে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) পক্ষ থেকে দেয়া শনিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কারিগরি ত্র“টির কারণে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে সাময়িকভাবে বিপর্যয় ঘটে। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সারাদেশের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ঘটনার পর বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি উপদেষ্টা , বিদ্যুৎ সচিবসহ পিডিবি ও পিজিসিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টারে যান। সবার সম্মিল্লিত চেষ্টায় দুপুর ১২টা ২৬ মিনিটে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়।
এ বিষয়ে গতকাল সকালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী দু:খ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, কারিগরি ত্র“টির কারণে এই সমস্যা হয়েছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনা কোনো ষড়যন্ত্র কিনা নাকি শুধুমাত্র কারিগরি ত্র“টি তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেখার পরই এটা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে বিষয়টি কারিগরি ত্র“টিই বলে ধারনা করছি আমি। তবে এই মুর্হুতে আমাদের প্রধান লক্ষ্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঠিক করা। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল আছেন। তিনি সার্বক্ষণিক বিষয়টি তদারকি করছেন। পাওয়ারগ্রিড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল বেরুনী বলেন, ভারত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে ত্র“টির কারণে হঠাৎ করে ৪৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে যে ফ্রিকোয়েন্সিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিলো তা সম্ভব হয়নি। একে একে সব লাইন ট্রিপ করে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। বিকেলে আবারও লাইন ট্রিপ করে।
এদিকে ভেড়ামারা প্রতিনিধি জানান, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি সময় হঠাৎ করেই ভেড়ামারার সাব ষ্টেশনে টেকনিক্যাল ক্রটি দেখা দেয়। সাব-ষ্টেশন’র নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, সকাল থেকেই স্বাভাবিক অবস্থায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ১১টা ২৭ মিনিট ২৮ সেকেন্ড’র সময় টেকনিক্যাল ক্রটি দেখা দেয়। সারাদেশের সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রও একযোগে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জাতীয় গ্রীড লাইন ফেল করে। তিনি জানান, চেষ্টা করা হচ্ছে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোন বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
রাত নয়টায় এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালে বিদ্যুৎ আসার খবর পাওয়া গেছে। তবে সেটি স্থায়ীভাবে নয়। বিদ্যুৎ আসছে, যাচ্ছে। এ বিষয়ে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন বলেন, রাত আটটায় মোট ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। এরমধ্যে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। এতে বিমানবন্দর এলাকাসহ উত্তরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়েছে। এলডিসি সূত্র জানায়, রাত ৮টা ১৯ মিনিটে ১ হাজার ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
সন্ধ্যায় পিডিবি জানায়, ঢাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। পিডিবির তরফ থেকে আশা করা হচ্ছে রাতের মধ্যে ঢাকার পরিস্থিতি পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে সারাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে একটু বেশি সময় লাগতে পারে।
এদিকে চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, গ্রীড লাইন ফেল করার পর থেকে চট্টগ্রামের ৯৫ ভাগ এলাকা অন্ধকারে ছিল সন্ধ্যা পর্যন্ত। এখানে সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ পাওয়া যায় মাত্র ১০ মেগাওয়াট। এ বিদ্যুৎ দিয়ে সাব স্টেশনগুলো প্রাথমিকভাবে সচল করা হয়। নগরীতে পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ চাহিদা ৬৫০ মেগাওয়াট। প্রকৌশলীরা আশা করছেন, রাতের মধ্যে অন্তত ২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। বাকি দুই-তৃতীয়াংশের বেশি লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শনিবার বিকেলে ৫ ঘন্টা পর গ্রীড চালু হলেও শুধুমাত্র জরুরি স্থাপনাগুলোতে বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছিল।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল প্রায় ৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। নগরীর রূপাতলী পাওয়ার গ্রিড সূত্র জানায়, ১১টা ২৮ মিনিটে বরিশালে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। এরপর ১০ মিনিট করে দু’বার বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। স্থায়ীভাবে বিদ্যুৎ আসে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায়। চট্টগ্রাম ব্যুরোও জানায়, সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলেও তা স্থায়ীভাবে আসেনি। বার বার বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে।
এদিকে সিলেট ব্যুরো জানান, জাতীয় গ্রিডে সমস্যার সৃষ্টির ফলে গতকাল শনিবার সিলেট নগরীর ছিল প্রায় ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে কল কারখানা, অফিস আদালতে ছিল ভূতুরে অবস্থা। এরপর বিকেল ৫টা থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিদুৎ সরবরাহ শুরু হয়। সিলেট বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মীর মো. রেজাউল কবির বলেন, জাতীয় গ্রিডে সমস্যা দেখা দেয়ায় সিলেটেও বিদ্যুৎ বিপর্যয় শুরু হয়। বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত সিলেটে ৬০ ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। এটা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।
তবে ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, জাতীয় গ্রীডে বিপর্যয় দেখা দেয়ায় ময়মনসিংহের ১২’টি উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। তবে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় নির্মিত রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আর.পি.সি.এল) এর বিদ্যুৎ এ শহরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে হঠাৎ করে গোটা জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ময়মনসিংহের বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা আর.পি.সি.এল এর বিদ্যুৎ এ শহরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করে। ময়মনসিংহ শহরের কেওয়াটখালী পাওয়ার গ্রীড কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক দীপক নন্দ জানান, পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহের সব উপজেলাগুলোতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করার চেষ্টা চলছে। নরসিংদী প্রতিনিধিকে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক) প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র দাস বলেন, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ঘোড়াশাল বিদুৎ কেন্দ্রে ওভারলোড হয়ে যায়। যার ফলে এ কেন্দ্রে গ্যাস প্লান্টের সেফটি বাল্ব পুড়ে যায়। ঘটনার ৩০ মিনিটের মধ্যেই সেফটি বাল্ব মেরামত করা সম্ভব হয়েছে। রাত ১০টা নাগাত বন্ধ ইউনিটগুলো চালু করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
ভোগান্তি:
হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। বিদ্যুতের কারণে পানির পাম্প বন্ধ থাকায় সারাদেশেই পানির জন্য হাহাকার তৈরি হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় সরকারি মেডিক্যাল হাসপাতালগুলোতে নির্ধারিত অপারেশন করতে পারেনি চিকিৎসকরা। ১১টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পরই বন্ধ হয়ে যায় বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম। প্রায় এক ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসে। এ সময় সিএনজি ষ্টেশনও বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে সন্ধ্যার পর বেড়ে যায় মোমবাতির কদর। বিদ্যুৎ না থাকায় ভুতুরে অবস্থা তৈরি হয় ঢাকার অলিগলিতে।
রাজধানীতে বিদ্যুৎ না থাকায় পানির জন্য হাহাকার শুরু হয়। বেশিরভাগ বাড়িতেই পানি জমিয়ে রাখা হয় না। ফলে পানির জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায় অনেককেই। উচু ফ্ল্যাট বাড়িগুলোতে পানির সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে লিফটের সমস্যাও দেখা দেয়। বিদ্যুতের কারণে লিফট না চলায় অনেকেই বাড়ির নিচ তলায় বসে লিফটের জন্য অপেক্ষা করেছেন ঘন্টার পর ঘন্টা। সন্ধ্যার পর রাজধানীর বেশিরভাগ দোকানে মোমবাতি ও খাবার পানি পাওয়া যাচ্ছিল না। মোমবাতি পাওয়া গেলেও তার দাম বেশি রাখার অভিযোগও করেছেন অনেকে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল প্রায় ৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় গতকাল শনিবার মহাভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নগরীর ৬৫ হাজার গ্রাহক এবং সাড়ে তিন হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিককে। বিদ্যুৎ না থাকায় শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে নির্ধারিত অর্পারেশনও করতে পারেননি চিকিৎসকরা। এমনকি মসজিদ থেকে মাইকিং করে মুসুল্লীদের বাহির থেকে ওজু করার আহ্বান জানানো হয়। ৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্লাট বাড়ির বাসিন্দাদের দুর্ভোগ ছিল সবচেয়ে বেশী। পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলন করতে না পারায় তাদের গোসল থেকে শুরু কর রান্না করতে সমস্যায় পড়তে হয়। সমস্যা পড়েছেন নগরীর প্রায় সাড়ে তিন হাজার ব্যবসায়ী। গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর গাজীপুরের পোশাক, ওষুধ ও পোল্ট্রি শিল্প মালিকরা প্রাথমিকভাবে জেনারেটরের মাধ্যমে কিছু বিদ্যুৎ দেয়ার চেষ্টা করে। এরপর বাধ্য হয়ে কারখানার কাজ বিকেলেই বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এদিকে জেলার অনেক পোল্টি খামারে বিদ্যুৎ না থাকায় মুরগী ও বাচ্চা এবং ডিমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান,  বিদ্যুত না থাকায়  কুমিল্লার জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে। বাসা-বাড়িতে পানির সংকট সৃষ্টি হয়। বিদ্যুতের সংকটে হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়।