বিদ্যুতের গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে হবে

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ডিপিডিসি আইএসও সনদ পেয়েছে এটি খূবই ভাল সংবাদ। কিন্তু সনদ পেলেই হবে না, সেই সনদ ধরে রাখার জন্য কাজও করতে হবে। এজন্য গ্রাহক সেবার মান আরো উন্নত করতে হবে।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি)  ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব স্ট্যার্ডাডাইজেশন (আইএসও) সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব আহমেদ কায়কাউস, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন, ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজর“ল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেশিরভাগ জায়গায় গ্রাহকরা কোথায় অভিযোগ করবে জানে না।  সেবা দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি নেই। তিনি বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা ২০ শতাংশ বেড়েছে। এজন্য বিতরন ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে হবে। আইএসও সদন পাওয়ার ধারাবাহিকভাবে তিনবছর ধরে রাখা গেলে একটি কোম্পানি এমনিতেই একটি মানসম্মত জায়গায় পৌঁছে যাবে। তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। নসরুল হামিদ বলেন, শুধু অফিসের ভেতরে নয়, বাইরেও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা ভাল হতে হবে।
আইএসও সনদ পাওয়ার পর ডিপিডিসি একটি আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানি হিসেবে তৈরি হবে বলে আশা করেন বিদ্যুৎ সচিব। তিনি বলেন, এজন্য সবার আগে গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে হবে। আরো উন্নত সেবা আশা করে গ্রাহকরা।
কায়কাউস বলেন,   শুধু আইএসও পেলেই চলবে না। আমাদের প্রধান লক্ষ হচ্ছে, গ্রাহকের সন্তুষ্টি। একজন গ্রাহকও অসন্তুষ্ট থাকলে সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তাই গ্রাহক সেবাই আমাদের মূল কাজ।
মোহম্মদ হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনের সব কোম্পানিকেই একটি মানসম্মত জায়গায় পৌঁছাতে হবে। এজন্য নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কাগজবিহীন অফিস করার বিষয়ে কাজ চলছে। আইএসও সনদও একটি বড় পাওয়া। বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোকে গ্রাহক সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি নিজেদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
নজর“ল হাসান, আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, গ্রাহক সেবার মান বাড়ানো। আইএসও সনদ অর্জন করার পর তা ধরে রাখাটাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই ডিপিডিসি কাজ করে যাবে। এজন্য ডিপিডিসি প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হাতে আইএসও সনদ তুলে দেন।