বিদ্যুতের আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ালে দাম কমবে

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ভারত আন্তঃদেশীয় বিদ্যুৎ বাণিজ্য নীতিমালা করতে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ ভারতের যে কোনো কোম্পানি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে পারবে। ভুটান বা নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও অনেকদূর এগিয়েছে। তুর্কমেনিস্তান -পাকিস্তান- আফগানিস্তান –  ভারত  (টিএপিআই) বা চীন-মিয়ানমার-ভারত (সিএমআই) গ্যাস সঞ্চালন লাইনে বাংলাদেশের সংযুক্ত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

শুক্রবার রাজধানীতে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি : সহযোগিতার মাধ্যমে সংযোগ’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে ইনস্টিটিউট ফর পলিসি, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (আইপেগ) এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ইনস্টিটিউট। দুই দিনের  এই কর্মশালায় সার্কভুক্ত আটটি দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সংশ্লিষ্ট ৩০ জন সরকারি কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা গেলে ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবে। এ ধরনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা থেকে বড় দেশগুলোর তুলনায় ছোট দেশগুলো বেশি উপকৃত হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নসরুল হামিদ বলেন, গতিশীল অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের একটি আঞ্চলিক বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় এ চাহিদা দ্রুত পূরণ করা সম্ভব। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ গভীর সম্পর্ক বজায় রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে  সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এর আগে আইপেগ প্রকাশিত ‘প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব কানেকটিভিটি অ্যান্ড ট্রেডিং ইন পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি : অ্যা রিজিওনাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল পার্সপেক্টিভ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।