বর্তমানে ৬৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সঙ্কট আছে: নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন,দেশে বর্তমানে ৬৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সঙ্কট রয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত সংসদ সদস্য বেগম সানজিদা খানমের (মহিলা আসন-২৪) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন বিকেল সাড়ে ৪ টায় শুরু হয়।
নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে দেশে গ্যাস চাহিদার পরিমাণ দৈনিক প্রায় ৩৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং দৈনিক গড়ে প্রায় ২৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের আমলে গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপের ফলে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ দৈনিক প্রায় ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে গ্যাসের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশে গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে।
গ্যাসের ঘাটতি পূরণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ ৫৪টি অনুসন্ধান কূপ ও ৩২টি উন্নয়ন কূপ খনন করা হবে। এছাড়া ২২টি পুরাতন কূপের ওয়ার্কওভার করা হবে। এসব কার্যক্রম সম্পাদন শেষে দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১১০০ থেকে ১২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বর্তমানে বাপেক্সের পাশাপাশি বিদেশি কোম্পানিও কূপ খনন কাজে নিয়োজিত  জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম ৫টি এবং চাইনিজ কোম্পানি সিনোপ্যাক ৩টি কূপ খনন কাজ সম্পন্ন করেছে। চাইনিজ কোম্পানি সিনোপ্যাকের আরও কূপ খনন করা বাকি আছে।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর (সিলেট-৩) আরেক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাসের ঘাটতি পূরণে সরকার ২০১৬-২০২১ সাল পর্যন্ত সম্পাদিতব্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০২১ সাল নাগাদ ৫৪টি অনুসন্ধ্যান কূপ ও ৩২টি উন্নয়ন কূপ খনন করা হবে। এছাড়া ২২টি পুরাতন কূপের ওয়ার্কওভার করা হবে। এসকল কার্যক্রম সম্পাদন শেষে দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা-১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে এক হাজার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
তিনি আরও বলেন, অগভীর সমুদ্রাঞ্চলে ব্লক এসএস-১১ এ সন্তোষ-ক্রিস এনার্জি প্রায় ৩ হাজার ২০০ লাইন কিলোমিটার ২ডি সাইসমিক সার্ভে পরিচালনা করে সংগৃহীত ডাটা ইন্টারপ্রিটেশন সম্পন্ন করেছে। যা থেকে বেশ কয়েকটি সম্ভাবনাময় প্রোসপেক্ট চিহ্নিত হয়েছে। ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে এ ব্লকে ৩পি সাইসমিক সার্ভে পরিচালনা করা হবে এবং পরবর্তীতে একটি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হবে।
গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলায় সরকার এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম দফায় ২০১৮ সালের প্রথম দিকে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে রিগ্যাসিফাইড এলএনজি সিস্টেমে যোগ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।