পানি খাতে শুদ্ধাচার নিশ্চিতের আহ্বান

বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩’ দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন, নদীসহ জলাশয় ও জলমহালসমূহ দূষণ ও অবৈধ দখলমুক্ত করাসহ পানি খাতে শুদ্ধাচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
রোববার বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে ‘টেকসই উন্নয়নে চাই পানি খাতে শুদ্ধাচার’ এই স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। মানববন্ধনে টিআইবির অনুপ্রেরণায় ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরুণদের সমন্বয়ে গঠিত ইয়েস সদস্যরা, সমমনা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সহিদ আকতার হুসাইন বলেন, “অবহেলা ও অসচেতনতার কারণে পানি আজ হুমকির সম্মুখীন। দৈনন্দিন ব্যবহারে নানাভাবে পানির অপচয়  ভবিষ্যতে আমাদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে।” এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে এবং সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দেশে পানি খাত সম্পর্কিত আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন,  “যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতি না থাকার কারণে কলকারখানার বর্জ্য সরাসরি নদী ও খালে ফেলা হচ্ছে, যা পানিকে দূষিত করছে। এ বিষয়টি সরকারকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা নিয়ে এ সমস্যা সমাধানে আশু ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
পানি খাতে শুদ্ধাচার নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়নের জন্য মানববন্ধনে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩ বাস্তবায়ন; নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে মিউনিসিপ্যালিটি/সিটি করপোরেশনে ওয়াসার মতো স্বতন্ত্র নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান গঠন; পানি সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর মধ্যকার কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করা; শিল্পবর্জ্য নির্গমনের বিধিমালার কঠোর প্রয়োগ, পরিবেশগত