উত্তরে নতুন ২ লাখ বিদ্যুৎ সংযোগ

বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসছে আরও দুই লাখ মানুষ। এ জন্য প্রায় ৯১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নেয়া হয়েছে নতুন প্রকল্প। রাজশাহী এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ অর্থ ব্যয় হবে। এ ছাড়া এক হাজার ২০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট পাঁচ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে   অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
রাজশাহী এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০১৮ সাল। এতে ব্যয় হবে ৯১৮ কোটি ৯৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, রাজশাহী বিদ্যুৎ বিতরণ এলাকা রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ৬০টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ জোনের আয়তন প্রায় ১৬ হাজার ৪৯৩ বর্গকিলোমিটার এবং লোকসংখ্যা প্রায় ২১ দশমিক ৭ মিলিয়ন। এ এলাকা কৃষি এবং শিল্পভিত্তিক। কৃষি কার্যক্রমে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। এ জোনে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন নতুন রাইচ মিল, কোল্ড স্টোরেজ, পোলট্রি ফার্ম এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠছে। এ ছাড়া বড় বড় শপিং মল, ব্যবসা কেন্দ্র ও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। পাবনায় একটি রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা স্থাপন করা হয়েছে। দেশী-বিদেশী অনেক কোম্পানি সেখানে শিল্পকারখানা স্থাপন করছে। এ কারণে দিন দিন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে।
সূত্রমতে, রাজশাহী অঞ্চলে কয়েকটি পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট, ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট ও রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ওই সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিদ্যমান বিতরণ লাইনের মাধ্যমে বিতরণ করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া সরকারের ভিশন অনুযায়ী ২০২১ সালে সবার জন্য বিদ্যুৎ প্রদানের লক্ষ্যে রাজশাহী জোনে বিদ্যমান দুর্বল বিতরণ অবকাঠামোর উন্নয়ন করা প্রয়োজন। এ জন্য প্রকল্পটি হাতে নেয়া হচ্ছে। এমএ মান্নান বলেন, রাজশাহী জোনে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দুই লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়া যাবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্ভরতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া বিদ্যুতের ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিদ্যমান পাওয়ার সিস্টেমের গুণগতমান এবং বিতরণ ব্যবস্থা উন্নতকরণ, আবাসিক ও শিল্পকারখানায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, বিদ্যুতের প্রতিবন্ধক ও ফ্রিকোয়েন্সি ভেরিয়েশন হ্রাসকরণ এবং লাইন উন্নত হবে। সভায় বরিশাল বিভাগ ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কাজ শেষ করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ৩৩টি উপজেলায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।