দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি

পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে দক্ষিণা বাতাসের মিশ্রণে বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে  বুধবার রাত থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি কোথাও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টি  বৃহস্পতিবারও থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে খেপুপাড়ায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। হাতিয়া ও যশোরে ২, সন্দ্বীপ, মংলা, সাতক্ষীরা ও ভোলায় ১ মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়েছে। এর বাইরে ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, সীতাকুণ্ডে, মাইজদীকোর্টে, রাজশাহীতে, চুয়াডাঙ্গা থেকে বৃষ্টি খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিম বঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। লঘুচাপের প্রভাবে আগামী ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে এরপর আবার তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।
অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে দক্ষিণা বাতাসের মিশ্রনে বৃষ্টি হচ্ছে। কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। শুক্রবার এই আবহাওয়া পরিবর্তন হতে পারে। তবে এই মাসের শেষদিকে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ি, চলতি মাসে দুই থেকে তিনটি কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাসের শেষ দিকে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ ছাড়াও বঙ্গোপসাগরে একটি নিুচাপের আশঙ্কা রয়েছে। ওই সময় তাপমাত্রা বেড়ে ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে বলে তারা জানায়।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খেপুপাড়ায় ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিু তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।