দুই বছরের মধ্যে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

আগামী দুই বছরের আগে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, যে কেনো ধরণের জ্বালানীর দাম বাড়ানোর আগে জ্বালানী নীতিমালা তৈরি জরুরি। প্রস্তাবিত হারে গ্যাসের দাম বাড়লে বস্ত্রখাতে পাঁচ শতাংশ খরচ বাড়বে।
আজ বুধবার বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ যৌথ সংবাদ সম্মেলন এই দাবি জানিয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ালে ব্যবসায় ছেড়ে দেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
বিজিএমইএ এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রস্তাবিত হারে গ্যাসের দাম বাড়লে পোশাক ও বস্ত্র খাতের ওপর বড় প্রভাব পড়বে। কারণ এর ফলে শিল্পে উৎপাদন খরচ সার্বিকভাবে পাঁচ শতাংশ বাড়বে। এতে পোশাক খাতে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বৈদেশিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক পোশাকের দামের বিপরীতে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর পরে পোশাক খাত এমনিতেই অনেক চাপে আছে। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়লে উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে। এর ফলে ভিয়েতনাম ও মিয়ানমারের মতো অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক দেশ আমাদের বাজার দখল করে নিতে পারে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, গ্যাসের বাড়ানোর আর সরকারের প্রত্যেক পরিবার থেকে কমপ¶ে এক ব্যক্তিকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রতিশ্রæতির সঙ্গে বিপরীতমূখী। শিল্পায়ন ব্যাহত হলে নতুন কর্মসংস্থানে অনেক বাধা তৈরি হবে।

বাংলাদেশ বস্ত্র কারখানা সমিতির (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, যদি গ্যাসের দাম বাড়লে প্রতি কেজি সুতার উৎপাদন খরচ ৭ টাকা ৭২ পয়সা বা ৯ সেন্ট হারে বাড়বে। যেখানে বর্তমানে স্থানীয় উৎপাদনকারীদের প্রতি কেজি সুতায় ৩০ টাকা করে ভর্তুকি দিতে হয়। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে বস্ত্র খাত ¶তিগ্রস্ত হলে দেশের অর্থনীতিতে একাধিক প্রভাব পড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এ·পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনসুর আহমেদ।
ছয় বিতরণ কোম্পানির গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের উপর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গণশুনানী শেষ করেছে। এখন প্রস্তাব আর শুনানীর পর্যালোচনা চলছে।