জ্বালানি তেলের দাম ১০৫ ডলার ছাড়াল

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি দাম ১০৫ মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’-এর জেরে সাত বছর পর এই দাম বাড়াল।

একই সাথে বিশ্বব্যাপী শেয়ারের দর এবং সূচকের পতন অব্যাহত আছে। সোনার দামও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার ইউরোপে আগাম কেনাবেচায় প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড জ্বালানি তেলের (৪২ মার্কিন গ্যালন বা ১৫৯ ব্রিটিশ লিটার) দাম ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ১০৫ দশমিক ০৮ ডলারে উঠেছে। এটি ২০১৪ সালের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের সর্বোচ্চ দাম। গতকাল বুধবার প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ৯৯ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। আর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারিমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেল ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে। গতকাল প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই তেল ৯৬ ডলার পর্যন্ত উঠে আবার কমেছিল।

আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও বেড়েছে। আজ প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম এরই মধ্যে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া সেইফ হ্যাভেন বা নিরাপদ বিনিয়োগ খ্যাত সোনার দামও ঊর্ধ্বমুখী। পণ্যটির আউন্সপ্রতি দাম ১ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯৪২ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

সিএমসি মার্কেটসের বিশ্লেষক টিনা টেং বলেছেন, দাম আরও বাড়বে।

আন্তর্জাতিক বাজারে চলতি বছরে এ পর্যন্ত ২০ শতাংশ, বর্তমান ফেব্রুয়ারিতে ১০ শতাংশ ও গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মরগ্যানের পূর্বাভাস হচ্ছে, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম ১২৫ ডলারে এবং আগামী ২০২৩ সালে ১৫০ ডলারে উঠতে পারে। এর আগে ২০০৮ সালে জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি দাম ১৪৭ ডলারে উঠেছিল,  সর্বোচ্চ।

সূত্র: বিবিসি, আনন্দবাজার পত্রিকা, সিএনবিসি।