তেলের দামের সাথে সিএনজির দাম বাড়ানোর দাবি

জ্বালানি তেলের সাথে সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) দাম সমন্বয় করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং  স্টেশন এন্ড কনভারসন ওয়ার্কশন ওনার্স এসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার রাজধানির ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এসোসিয়েশনের সভাপতি মাসুদ খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর, মনোরঞ্জন ভট্ট, জহিরুল ইসলাম জয়, নজরুল ইসলাম, একেএম আলমগীর, সফিউদ্দিন, মিজানুর রহমান রতনসহ অন্যরা।
জ্বালানি তেলের দাম কমানো হলে আগামী  ২৩শে এপ্রিলে এসোসিয়েশন  বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে বলে জানানো হয়। জ্বালানি বিভাগের করা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ি দ্রুত সিএনজির দাম সমš^য় করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জ্বালানি তেলের দাম কমালে আর সিএনজির দাম একই থাকলে বৈষম্য তৈরী হবে। গণপরিবহনে নৈরাজ্য তৈরী হবে। প্রান্তিক জনগোষ্টিক কাছে কোন সুবিধা পৌছাবে না। এছাড়া সিএনজি ব্যবহারে মানুষের আগ্রহ কমে যাবে। এই খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করা হয়েছে। যদি সিএনজি ব্যবহার কমে যায় তবে বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে।
বর্তমানে ৫৯০টি সিএনজি আছে যেখানে তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এছাড়া দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তিন লাখ গাড়ি সিএনজিতে রূপান্তর করা হয়েছে।
জানানো হয়, সিএনজির দাম বাড়ানো উচিত কিন্তু কমানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দাম বাড়ানো হলে গণপরিবহনে সিএনজি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবে। এতে বায়ু দূষণ বাড়বে। ঢাকাসহ অন্য শহর গ্যাস চেম্বারে পরিনত হবে।