টেকসই উন্নয়নে পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী

জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কংক্রিটের তৈরি ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাটসহ অন্য স্থাপনা নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষিজমি রক্ষা করে পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। প্রচলিত ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব কংক্রিট ব্লকের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
রোববার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে কনকর্ড গ্র“প আয়োজিত ‘বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি উন-ইয়ং, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এম শামীম জেড বসুনিয়া, কনকর্ড গ্র“পের চেয়ারম্যান এস এম কামাল উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস কে লালা প্রমুখ। সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সালেহ মোস্তফা কামাল।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, স্থাপনা নির্মাণ বেড়ে যাবে। এজন্য পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তির নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের দিকে নজর দিতে হবে। টেকসই উন্নয়নে পরিবেশ বান্ধব নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের বিকল্প নেই।
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে শহরে ৩৫ শতাংশ বাড়ি-ঘর পাকা, আর বাকি ৬৫ শতাংশ হল আধা-পাকা ও কাচা। গ্রামের ঘর-বাড়ি ৫ শতাংশ পাকা। তিনি বলেন, ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবে রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা কংক্রিটের হবে। যার কারণে এর প্রভার পড়বে পরিবেশের উপর। এই জন্য আমাদেরকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইয়ুন ইয়ং বলেন, বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় ইস্যু। কোরিয়াও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতি মোকাবেলায় দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সেমিনারে অন্য বক্তারা বলেন, পোড়ামাটির ইটের ব্যবহার পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। স্ট্রাকচারাল ডিজাইন, আর্কিটেকচারাল ডিজাইন, ফিনিশিং ও বিল্ডিং ম্যাটারিয়াল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সৌর শক্তির ব্যবহার, পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে স্থাপনা তৈরি করার ক্ষেত্রে পরিবেশের উপর থেকে ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনা যায়।