জ্বালানি খাতে এশিয়ার নতুন শক্তি বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের সঙ্গে মামলায় বাংলাদেশ সাগরে ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার ওপর অধিকারের স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় এই সমুদ্র এলাকা পাওয়ায় বাংলাদেশ জ্বালানি খাতে এশিয়ার নতুন শক্তিতে পরিণত হতে পারে। এসব কথা বলা হয়েছে প্রভাবশালী অনলাইন সাময়িকী দ্য ডিপ্লোম্যাটের এক প্রতিবেদনে। টোকিওভিত্তিক এই সাময়িকীতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিশেষ গুরুত্ব পায়।
শুক্রবার ‘বাংলাদেশ :এশিয়াস নিউ এনার্জি সুপারপাওয়ার?’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ ২০০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট বলে ধারণা করা হয়। এ বছরের মধ্যে পেট্রোবাংলা নতুন ১৮টি তেল-গ্যাস ব্লক ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করবে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের অনেকে ধারণা করছেন, বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম সেরা গ্যাস উত্তোলনকারী দেশে পরিণত হবে।সেঞ্চুরি ফাউন্ডেশনের নেল ভাটিয়া বলেন, বঙ্গোপসাগরের জ্বালানি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা খুবই আগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকবে। তবে কেউ কেউ প্রকৃত মজুদ সম্পর্কে জানার আগে এতটা উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য করতে রাজি নন। মান্নার এনার্জির পরামর্শক রবিন মিলস বলেন, বাংলাদেশে ১০০ থেকে ২০০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আছে কি-না সে ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত নন। বাংলাদেশে মজুদের বিষয়টি প্রমাণিত কিছু নয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যে সব কোম্পানি জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে চায় তাদের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে আকর্ষণীয় স্থান। তবে দুর্নীতিসহ নেতিবাচক কিছু দিকের কথাও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হতে পারে।