জ্বালানি সাশ্রয়ি ব্যবহার পরিবার থেকেই শুরু করা উচিত: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানির সাশ্রয়ি ব্যবহার পরিবার থেকেই শুরু করা উচিত। জ্বালানি সাশ্রয়ি যন্ত্রপাতি সহজলভ্য করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার কেরাণীগঞ্জ জেলা পরিষদ মাঠে মডার্ণ চুলার ব্যবহার বাড়াতে ক্যাম্পিং কার্যক্রম উপলক্ষ্যে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) ও গ্লােবাল এলাযেন্স ফর ক্লিন কুক স্টোভ (জিএসিসি) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মডার্ণ চুলার মেলার উদ্বোধন করার সময় প্রতিমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্রেডার চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার এনডিসি, কেরাণীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, স্রেডার সদস্য সিদ্দিক জুবায়ের, জিএসিসি‘র বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ আসনা তৌফিক বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আধুনিক চুলায় যেহেতু কম জ্বালানি খরচ হয়, কম ধোঁয়া বের হয় সেজন্য এটি পরিবেশ বান্ধব। তবে জ্বালানি সাশ্রয়ী এই চুলা সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, কেরাণীগঞ্জে আবর্জনা হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এজন্য যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। আগামী দিনের জ্বালানি হবে এই নবায়নযোগ্য জ্বালানি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে প্রচলিত চুলা থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া সর্বোচ্চ ৫টি স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে অন্যতম। প্রতিবছর ঘরের অভ্যতরে বায়ু দূষণের ফলে বাংলাদেশে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অকালে মারা যায়।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ধোঁয়াবিহীন রান্নাঘর করার সরকারের যে পরিকল্পনা আছে তা আরো দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।