বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জ্বালানি তেল আমদানিতে দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণ

বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও জ্বালানি তেল আমদানির জন্য দেড় বিলিয়ন বা ১৫০ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে সরকার। বড়পুকুরিয়ায় একটি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ঘোড়াশালে একটি কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন এবং বিদেশি চারটি কোম্পানি থেকে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য এ ঋণ নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। এসব ঋণের সুদের হার ৬ শতাংশের বেশি।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে হার্ড টার্ম লোন কমিটির বৈঠকে এসব ঋণ নেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অর্থসচিব মাহবুব আহমদ, ইআরডি সচিব মো. মেজবাহউদ্দিন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসলাম আলমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বড়পুকুরিয়ায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিট স্থাপন প্রকল্পের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না (আইসিবিসি) থেকে ঋণ নেয়া হচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৬৮৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে আইসিবিসি’র ঋণ এক হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য চীন থেকে প্রায় দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ঋণ নেয়া হচ্ছে।
২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রকল্পটি টার্নকি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে হারবিন ইলেকট্রিক ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি এবং সিসিসি ইঞ্জিনিয়ারিং পিআর চায়নার যৌথ দরপ্রস্তাব অনুমোদন পায়।
বৈঠকে, জ্বালানি তেল সংগ্রহের জন্য মালয়েশিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনের চারটি কোম্পানির কাছ থেকে ৯০ কোটি ডলারের সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট নেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে পেটকো-মালয়েশিয়া থেকে ৩০ কোটি, পেট্রো-চায়না থেকে ২৫ কোটি, ফিলিপাইনের পিএনওসি-ইসি থেকে ২০ কোটি এবং সিঙ্গাপুরের ইউনিপেগ থেকে ১৫ কোটি ডলার ঋণ নেয়া হচ্ছে।