চীনের সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের মোট ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এরমধ্যে চারটি চুক্তি হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। এছাড়া একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্টসি চিন পিংয়ের উপস্থিতিতে এ চুক্তি সাক্ষরিত হয়। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ঢাকা শহরের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নত করতে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) সঙ্গে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের, দেশের সঞ্চালন লাইন আরো সম্প্রসারিত ও উন্নত করতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) সঙ্গে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার এবং পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে নর্থ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির সঙ্গে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে চুক্তি হয়েছে। এছাড়া পেট্রোবাংলার সঙ্গেও একটি চুক্তি হয়েছে। এ সময় নবায়নযোগ্য জ্বালানিখাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করতে চীনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়।

এ বিষয়ে নসরুল হামিদ এনার্জি বাংলাকে বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে। আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশ বিদ্যুৎ জ্বালানিখাতে কাজ করে যাবে। তিনি জানান, বিদ্যুৎ জ্বালানিখাতে আরো বিনিয়োগের জন্য চীনকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি।

নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চিনের এক্সিম ব্যাংক এ ঋণ দেবে। এর সুদের হার হবে দুই শতাংশের কিছু বেশি।

ডিপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল হাসান বলেন, আগামী তিন মাস পর এই ঋণের অর্থে উন্নয়ন কাজ শুরু করা হবে। পাঁচ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।