গ্রামের গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ৪৪ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ

গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি সাত দশমিক ১৯ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) মূল্যায়ন কমিটি। এতে বিদ্যুতের দাম বাড়বে ইউনিট প্রতি ৪৪ পয়সা।
আজ বুধবার কাওরান বাজারে টিসিবি মিলনায়তনে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর অনুষ্ঠিত গণশুনানির তৃতীয় দিনে এই সুপারিশ করে মূল্যায়ন কমিটি।
গণশুনানিতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। এছাড়া ডিমান্ড চার্জ ও সার্ভিস চার্জ বাড়ানোরও প্রস্তাব করে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে বিইআরসির সদস্য রহমান মুরশেদ, মাহমুদউল হক ভুইয়া, আব্দুল আজিজ খান ও মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।   এছাড়া আরইবির মেজর জেনারেল চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন, ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
গণশুনানিতে আরইবি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, আরইবির জনবল খরচ, অবকাঠামোগত খরচ বেড়েছে। অতিরিক্ত অপচয় খরচ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচও বেড়েছে। চেয়ারম্যান জানান, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে নিট খুচরা সরবরাহ ব্যয় ইউনিট প্রতি ছয় টাকা ৭০ পয়সা। বিদ্যমান খুচরা দাম ইউনিট প্রতি ছয় টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ ইউনিট প্রতি ঘাটতি ৬৫ পয়সা। গত অর্থবছরে আরইবি আটশত কোটি টাকা লোকসান দিয়েচে। ৭৯ টি পল¬ী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে মাত্র ১১টি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। অস্বচ্ছল সমিতিগুলো তাদের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছে না। ঋণ ও সুদের কিস্তি বকেয়া পড়েছে ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
মূল্যায়ন কমিটি জানায়, অন্য কোম্পানির চেয়ে কম দামে পাইকারি বিদ্যুৎ কেনায় বছরে আরইবি প্রায় তিন হাজার আটশ কোটি টাকার মতো সাশ্রয় হয়। এরপর বিতরণ ব্যয় বাড়ায় গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো উচিত।
এদিকে ভোক্তারা বলেন, গ্রামের মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পায় সবচেয়ে কম। তাদের সেবার মান উন্নত না করে দাম বাড়ানো অযৌক্তিক।