গ্যাসের দাম বাড়ালে ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যহত হবে: ডিসিসিআই

স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা সম্পর্কিত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ধারা বাধাগ্রস্ত হবে বলেও আশঙ্কা করছে ঢাকা চেম্বার। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। এ অবস্থায় নতুন করে আবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। এ ব্যাপারে বিতরণ কোম্পানিগুলো বিভিন্ন হারে গ্যাসের দাম বাড়নোর প্রস্তাব করেছে। আগামী ৭ থেকে ১৮ আগস্ট এই দামের ওপর গণশুনানীর আয়োজন বিইআরসি। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে এ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার। এর বিকল্প হিসেবে ডিসিসিআই মনে করে, সরকার বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমানোর সুযোগ নিয়ে বেশি করে তেল আমদানি করে জ্বালানির অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে পারে।
ডিসিসিআই মনে করে, গ্যাসের দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত ব্যবসা-বাণিজ্যে নানামুখী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর ফলে ব্যবসায় ব্যয় বাড়বে এবং রফতানি বাধাগ্রস্ত হবে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিটে উন্নিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য মারাÍক হুমকির কারণ হতে পারে। ঢাকা চেম্বার মনে করে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির নানামুখী কর্মকান্ড মেটানোর জন্য শিল্প-কারখানাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমানে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়নি, এ অবস্থায় আবার দাম বাড়ানোর ফলে ব্যবসায় ব্যয় আরোও বাড়বে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির ধারাকে গতিশীল রাখার জন্য সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগকারিদের এ দেশে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করবে। ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে টেক্সটাইল, তৈনি পোশাকসহ অন্য খাতগুলো এরইমধ্যে প্রচন্ড চাপের মধ্যে রয়েছে, গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে বিদ্যুতের দামও বাড়বে। এতে খাতগুলোর অগ্রগতির ধারা ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, গ্যাসের দাম আবার বাড়ানো হলে তৈরি পোষাক খাত এবং অন্য আমদানি বিকল্প রফতানি নির্ভর শিল্প পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাদের প্রতিযোগি সক্ষমতা কমে যাবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার সম্ভাবনা কমে আসবে। বাণিজ্যিক পরিবহন খাতে এর প্রভাব পড়ার কারণে ব্যবসায় ব্যয় ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খলে (সাপ্লাই চেইন) ব্যয় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে যার প্রভাব সাধারণ ভোক্তাশ্রেণীর উপর গিয়ে পড়বে। এ ধরনের দাম বাড়ানো অনৈতিকভাবে অপব্যবহারের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে সহায়তা করে।