চুক্তিভিত্তিক গাড়িচালক অব্যাহতি: শেভরণে অসন্তোষ

চুক্তিভিত্তিক গাড়িচালকদের অব্যাহতি দেয়াকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বহুজাতিক গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানি শেভরণ বাংলাদেশ ঢাকা অফিসে। সম্প্রতি চুক্তিভিত্তিক কিছুসংখ্যাক গাড়ি চালকের অব্যাহতি দেয়ার পরই এই পরিস্থিতি তৈরী হয়।
এদিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া চালকরা বিষয়টি সমাধানের জন্য মামলা করছে। অন্যদিকে শেভরণ কর্তৃপক্ষ গুলশান থানায় সাধারণ ডায়রি করেছে। একই সাথে পেট্রোবাংলাকেও চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে। পেট্রোবাংলা জ্বালানি বিভাগকে চিঠি দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শেভরণ কর্মকর্তা কর্মচারিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছে।
শেভরনের চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া গাড়ি চালক সাইফুল ইসলাম শহীদ এ বিষয়ে বলেন, আইন না মেনেই ৪৬জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। যে কারণে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছি। এ ছাড়া বেআইনীভাবে অব্যাহতি দেয়ার জন্য মামলা করেছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শেভরন কর্তৃপক্ষ জানান, শেভরণ সম্প্রতি বিবিয়ানার সম্প্রসারণ কাজ শেষ করেছে। এজন্য যে পরিমান গাড়ি আছে তার বেশিরভাগই দরকার নেই। তাছাড়া যারা এই অভিযোগ করছে তাদের চাকরি ছিল চুক্তিভিত্তিক, তারা শেভরনের কর্মচারি নন। একটি সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানি’র মাধ্যমে তারা শেভরন-এ কাজ করত।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, শেভরনের পরিচালক (অপারেশনস) গর্ডন মুরি গুলশান থানায় গত ১৩ ও ১৫ মে এবং ২১ জুন তিনটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ ছাড়া গুলশান থানায় আলাদা দুটি চিঠিও দেয়া হয়েছে। এসব চিঠি ও জিডিতে নিজেদের নিরাপত্তাহীন বলে দাবি করেছে শেভরন।
একই সাথে বিষয়গুলো জানিয়ে পেট্টোবাংলায় চিঠি দিয়েছে শেভরন কর্তৃপক্ষ। পেট্রোবাংলায় দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে অস্থায়ী ড্রাইভারদের নিয়োগ বাতিল ও বহিরাগতদের বাধার মুখে নিরাপত্তাহীন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পেট্রোবাংলা জ্বালানি বিভাগকে চিঠি দিয়েছে, যেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। চিঠিতে বলা হয়েছে, চাকরিচ্যুত গাড়িচালকরা সম্মিলিতভাবে শেভরনের গুলশানের কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন, মিছিল, মিটিং ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতে বাধা দেয়।
বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বেশি গ্যাস উৎপাদন হয় বিবিয়ানা ক্ষেত্র থেকে। আর দেশের মোট গ্যাসের ৪০ ভাগ তিনটি ক্ষেত্র থেকে উৎপাদনের করে শেভরণ।