গভীর সমুদ্রের গ্যাস রপ্তানির সুযোগ রেখে নতুন পিএসসি

sea

বঙ্গোপসাগরে গ্যাস উত্তোলনের পর তা রপ্তানি করতে পারবে বিদেশি কোম্পানি।

বঙ্গোপসাগরে ২৬টি ব্লক রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ২২টি নিয়ে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। নতুন অফশোর মডেল পিএসসি (প্রোডাকশন শেয়ারিং মডেল) ২০১৯ অনুযায়ী বিদেশি সংস্থাগুলো গ্যাস উত্তোলন করে তা রপ্তানি করার সুযোগ পাবে। সম্প্রতি, নতুন মডেলটিকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা কমিটির অর্থনৈতিক বিভাগ।

২০০৮ সালের অফশোর মডেলে গ্যাস রপ্তানির সুযোগ দেয়া হয়েছিলো। তবে ২০১২ সালে তা বাতিল করা হয়।

নতুন মডেল অনুযায়ী রপ্তানির আগে কোম্পানি পেট্রোবাংলাকে গ্যাস কেনার প্রস্তাব দেবে। পেট্রোবাংলা গ্যাস না কিনলে তখন তা রপ্তানি করতে পারবে।

এবার সরকার দুটি পিএসসি মডেল তৈরি করেছে। একটি স্থলভাগের জন্য। অন্যটি সমুদ্রের জন্য। স্থলভাগের জন্য গ্যাস রপ্তানির কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। এছাড়া, সমুদ্রের জন্য যেসব আর্থিক সুবিধা রাখা হয়েছে সেগুলো স্থলভাগে নেই।

বুয়েটের পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ম তামিম বলেন, অবশ্যই নতুন মডেলটির মাধ্যমে অনেক কোম্পানিকে আকৃষ্ট করা যাবে যা তুলনামূলকভাবে যৌক্তিক। নতুন পিএসসি-তে দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর স্বার্থ দেখা হয়েছে।

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সদস্য সচিব এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ মনে করেন, সরকারের এই নতুন উদ্যোগ যৌক্তিক নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একদিকে এলএনজি (লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস) আমদানি করছে অন্যদিকে নিজেদের গ্যাস রপ্তানির সুযোগ রাখছে।