কয়লা ও এলএনজি বাদ দিয়ে নবায়নযোগ্যতে বিনিয়োগের সুপারিশ টিআইবি’র


বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন কার্যক্রমকে অধিকতর ফলপ্রসূ করতে টিআইবি ১০ দফা সুপারিশ করেছে।
সুপারিশগুলো হলো, অবিলম্বে প্যারিস চুক্তিতে প্রতিশ্রুত অনুদানভিত্তিক প্রশমন অর্থায়ন নিশ্চিত করতে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর ওপর বাংলাদেশের নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ; পরিবেশ বান্ধব জলবায়ু তহবিলসহ আন্তর্জাতিক তহবিলে অভিগম্যতা অর্জনে আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের মাধ্যমে পথনকশা প্রণয়ন; কয়লা ও এলএনজির মতো জীবাশ্ম জ¦ালানিভিত্তিক শক্তিতে বিনিয়োগ বন্ধ করে নবায়নযোগ্য খাতে বিনিয়োগ ও অর্থায়ন নিশ্চিত করা, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের অযৌক্তিক ব্যয় কমিয়ে সুলভে উৎপাদনে সরকারি প্রকল্পের মত বেসরকারি খাতে বিনিয়োগকারীদেরও একই ধরনের প্রণোদনা (কর অব্যাহতি এবং ক্যাপাসিটি চার্জ মুক্ত) দেয়া; বনায়ন ও বন্যপ্রাণী আবাস সংরক্ষণসহ বন ব্যবস্থাপনায় অগ্রাধিকারমূলক প্রশমন অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে; প্রশমন কার্যক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহের সুশাসন নিশ্চিতে ফলপ্রসু পদক্ষেপ গ্রহণের বিবেচনা সাপেক্ষে প্রকল্প অনুমোদন দিতে হবে; তথ্যবোর্ডে আবশ্যকীয় উল্লেখিত বিষয় সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাসহ প্রকল্প এলাকায় তথ্যবোর্ড স্থাপনসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তার উপস্থিতি নিশ্চিত করা; প্রকল্প তদারকি, নিরীক্ষা ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে এবং প্রকল্পের সকল পর্যায়ে জনঅংশগ্রহণসহ তৃতীয় পক্ষের স্বাধীন তদারকি নিশ্চিত করতে হবে; অভিযোগ গ্রহণের জন্য অভিযোগ বাক্স স্থাপন, মোবাইল নম্বর দেয়াসহ প্রকল্প এলাকায় গণশুনানির মাধ্যমে অভিযোগ নিরসনের ব্যবস্থা নিতে হবে; জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল ব্যবহার নীতিমালা, ২০১২ লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্দিষ্ট শাস্তিসহ নীতিমালা সংশোধন করতে হবে।
এক গবেষণা প্রতিবেদনে টিআইবি বলছে, ৭টি প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র অত্যন্ত প্রকটভাবে উঠে এসেছে।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না করে উল্টো কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। যার স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি যে প্রভাব তা কিন্তু জনগণের ওপর পড়ছে। যেটা খুব পরিষ্কারভাবেই বুঝতে পেরেছি। প্রকল্পের যথার্থতা, জনগণের চাহিদা, সুবিধা ও প্রকল্প বাস্তবায়নের উপযোগী স্থান বিবেচনায় না নিয়েই রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রকল্প গৃহীত ও বাস্তবায়িত হয়েছে। এর ফলে একদিকে আর্থিক অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে প্রশমন কার্যক্রমের বাস্তব কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।