কয়লাখনির দাবিতে ফুলবাড়ীতে সমাবেশ

ফুলবাড়ী কয়লা খনি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ করলো ফুলবাড়ি এলাকাবাসী।
শুক্রবার সকালে ফুলবাড়ি বাসস্ট্যান্ড হাসপাতাল মোড়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টি ও খারাপ আবহ্ওায়া উপেক্ষা করে কয়েকশ’ মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন। “দ্রুত ফুলবাড়ি কয়লাখনির বাস্তবায়ন চাই” শীর্ষক সমাবেশে বক্তারা বেকার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দ্রুত খনি বাস্তবায়নে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। অন্যথায় কয়লাখনির দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা দেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মো. জাবেদ আলী। ফুলবাড়ীর সর্বস্তরের জনগণ-এর পক্ষ থেকে আয়োজিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন, মীর্জা গ্রুপ অফ ইন্ডাষ্ট্রিজ এর ম্যানেজার মো. মশিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল হক, শিবনগর ইউপি সদস্য মো. বাবলু, ইউপি সদস্য মো. নুরুল ইসলাম, সেকেন্দার আলী জিন্নাহ, ফুলবাড়ী কোল্ড ষ্টোরেজের ম্যানেজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ডালিম, আলাদীপুর ইউপি সদস্য মো. সেরাজুল ইসলাম, মো. নবাব আলী, মো. ছালাম, মো. মাসুদ রানা, মো. বাদশা, মো. হুমায়ুন, মো. রুবেল, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মো. সবুজ, মো. ফারুখ প্রমুখ। ফুলবাড়ী কয়লা খনি দ্রুত বাস্তবায়ন চাই- শীর্ষক সমাবেশ পরিচালনা করেন মো. মোশারফ হোসেন।
সমাবেশে মশিউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়েনে ও বেকার সমস্যা দূরীকরণে এই কয়লা খনি বাস্তবায়ন চাই। আজ যারা কয়লা খনি বিরোধী আন্দোলন করছে তারা বিদেশি দালাল, তারা চায়না এই এলাকার উন্নয়ন হোক। বেকার সমস্যা দূর হোক। তারা নিজেরা জাতিকে কিছু দেবে না, নিতেও দেবে না। আগামী দিনে তারা যেন ভু পথে মানুষকে পরিচালনা করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি, মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, সেখানে বহু লোকের কর্মসংস্থান গড়ে উঠছে। সেখানে আমাদের এলাকার লোক জনের চাকরি নাই। এই কয়লা খনি বাস্তবায়ন হলে কর্মসংস্থান হবে ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ারুল হক বলেন, খনি বাস্তবায়নে এখনই প্রধানমন্ত্রীকে পদক্ষেপ নিতে হবে। এই খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলে সরকার একদিকে যেমন জ্বালানী সংকট থেকে রক্ষা পাবে অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করে শিল্প কলকারখানাসহ অন্যান্য খাতে সরবরাহ করা যাবে।
হামিদ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. জাবেদ আলী বলেন, বর্তমান দেশে তীব্র জ্বালানী সংকটের কারনে দেশে নতুন শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠছে না। সরকার শিল্প কলকারখানায় গ্যাস বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। শিল্প মালিকেরা অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে, কৃষি খাতও মুখ থুবরে পড়েছে। এ প্রেক্ষিতে ফুলবাড়ী কয়লা খনি বাস্তবাায়ন হলে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে তা কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে সরকার লাভবান হতো। অন্যদিকে এই এলাকার ৩৫ হাজার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো।