এলপিজি টার্মিনাল ও সিলিন্ডার তৈরির কারখানা করবে বিপিসি

কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপি গ্যাস) টার্মিনাল এবং টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার তৈরির কারখানা করার উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

বিপিসি সূত্র জানায়, মাতারবাড়িতে টার্মিনাল স্থাপন করা হলে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে এলপি গ্যাসের কাঁচামাল (প্রোপেন ও বিউটেন) আমদানি করা যাবে। কেননা, মাতারবাড়িতে এক লাখ টন বা তারও বেশি ধারণক্ষম জাহাজ আনার মত পানির গভীরতা রয়েছে।
যত বড় জাহাজে এক সাথে বেশি পণ্য আনা হবে খরচ তত কম হবে।
বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানি এখন সাধারণত ১০ হাজার টনের বেশি ক্ষমতার জাহাজে কাঁচামাল আমদানি করতে পারে না। কারণ মংলা বন্দরে এর চেয়ে বেশি ধারণ ক্ষমতার জাহাজ আসার মত পানির গভীরতা নেই। ফলে তাঁদের আমদানি মূল্য বেশি পড়ে।
মাতারবাড়িতে বিপিসির টার্মিনাল স্থাপিত হলে বেসরকারি কোম্পানিগুলো সেখান থেকে সহজে কাঁচামাল আনা-নেয়া করতে পারবে। এতে তাঁদের খরচ কম পড়বে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এলপি গ্যাস টার্মিনালের জন্য ইতিমধ্যে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা কক্সবাজার জেলা প্রশাসন অধিগ্রহণ করবে। প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি অভিজ্ঞ কোনো সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে হবে।

বিপিসি সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় এলপি গাসের সিলিন্ডার তৈরির যে কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটিতে বছরে ২০ লাখ সিলিন্ডার তৈরি হবে। সিলিন্ডারগুলো হবে আন্তর্জাতিক মানের। বিপিসি মালিকানাধীন কোম্পানি এলপি গ্যাস লিমিটেড এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। ২৯শে নভেম্বর বিপিসি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এলপি গ্যাস কোম্পানির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপাততঃ নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। তার ফলাফলের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বসুন্ধরা এবং ওমেরা দেশে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার তৈরি করছে। তবে অধিকাংশ সিলিন্ডার এখনো বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়।