৭৬ বছর পর উন্মুক্ত মেক্সিকোর জ্বালানি খাত

জ্বালানি খাত উন্মুক্তকরণের প্রস্তাবসংবলিত বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মেক্সিকোর সিনেট। এর মধ্য দিয়ে দেশটির জ্বালানি খাতে সরকারি পুঁজির ৭৬ বছরের আধিপত্যের সমাপ্তি ঘটার পাশাপাশি দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ, দক্ষতা ও তেল উত্তোলন বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও রয়টার্স।
বুধবার সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেট সদস্যের ভোটে জ্বালানি খাতে বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত করার বিলটি অনুমোদন হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সিনেটের এ অনুমোদন মূলত মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকো পেনা নিতোর সংস্কার প্রচেষ্টার একটি বড় বিজয়। প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়িয়ে অর্থনীতি বেগবান করতে বিভিন্ন খাতের সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন তিনি।
২০১২ সালে নিতো দায়িত্ব নেয়ার সময়ও অনেক বিশ্লেষকের কাছে এ সাফল্য কল্পনাতীত ছিল। গত অর্ধশতক ধরে মেক্সিকোর প্রায় সব প্রেসিডেন্টই জ্বালানি খাত বেসরকারীকরণের চেষ্টা করে গেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক বাধার মুখে তা সম্ভব হয়নি।
১৯৯২ সালে প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দে লা মাদ্রিদের হাত ধরে বেসরকারীকরণ শুরু হয় মেক্সিকোয়। এরই মধ্যে বেসরকারীকরণের সুবাদে অনেক খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বড় বড় বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে। অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগ বিশ্লেষকদের মতে, সরকারি নিয়ন্ত্রণে রয়ে যাওয়া একচেটিয়া খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অদক্ষ ছিল জ্বালানি খাত।
ডিসেম্বরে সংশোধিত সংবিধানের আওতায় উত্থাপিত বিলটিতে আগামী সপ্তাহেই স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট নিতোর। নতুন আইন অনুযায়ী, বিদেশী কোম্পানিগুলো মেক্সিকোয় জ্বালানি তেল অনুসন্ধান, উত্তোলন ও পরিশোধন করতে পারবে। ১৯৩৮ সালে জাতীয়করণের পর থেকে এ সুযোগ বন্ধ ছিল মধ্য আমেরিকার দেশটিতে। সে বছরই প্রতিষ্ঠা হয় রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি কোম্পানি পিম্যাক্স, যা মেক্সিকোকে তেল উত্তোলনে বিশ্বে ৯ নম্বরে তুলে আনে।