সৌর চুলা উদ্ভাবন করতে হবে

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী সৌর চুলা উদ্ভাবনে বিশেষজ্ঞদের কাজ করতে আহবান জানিয়েছেন।
সোমবার এফবিসিসিআই ও জার্মান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে হোটেল সোনারগাঁও এ অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে অনেক কাজ হয়েছে। সৌর বিদ্যুৎ প্রসারে দাতাদের আশায় বসে না থেকে নিজেদেরও উদ্যোগী হতে হবে। বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করার লক্ষ ঠিক করা হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের জন্য এনার্জি রিসার্চ কাউন্সিল গঠন করা হচ্ছে।
‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার এবং এর সফলতা’ শীর্ষক সেমিনারে একাধিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সেমিনারে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.ম তামিম, বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সৌর বিদ্যুৎ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান দিপাল বড়ূয়া, টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) চেয়ারম্যান তাপস কুমার রায়, ইডকলের নির্বাহী পরিচালক মাহমুদ মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল হক, জিআইজেড এর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ড. খালেক-উজ-জামান, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিয়াউর রহমান খান, উইন সোর্স লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম মাহবুবুল আলম এবং পাওয়ার ইউটিলিটি লি. এর ইমরান হাসান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই এর সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ। এফবিসিসিআই এর প্রথম সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী সেমিনার শেষে ধন্যবাদ জানান।
সেমিনারে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.ম. তামিম বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি আছে। কিন্তু সে নীতি নবায়ন করা জরুরী। নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে বড় চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। কিন্তু ছোট ছোট প্রয়োজন মেটানো যেতে পারে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছে। কিন্তু তার সফল বাস্তবায়ন অত বেশি না।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্য এখন ঠিক করা নেই। কোথায় কীভাবে কোনটা করা হবে তা নির্দিষ্ট নেই। ফলে বিনিয়োগে সমস্যা তৈরী হয়। এছাড়া সরকারি দ্বৈতনীতির কারণে অনেক সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশে বায়োগ্যাসের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সৌর বিদ্যুতের সকল কিছু কর ছাড়া আনা যায় কিন্তু বায়োগ্যাসে ৯২ ভাগ কর দিতে হয়। বক্তারা বলেন, নতুন প্রযুক্তি আনতে গেলে তার জন্য অন্য সকল প্রস্তুতি নিতে হবে। বাংলাদেশের গ্রিড ঝুঁকিপূর্ণ। এই গ্রিডকে বিভিন্ন বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য উপযুক্ত করতে হবে।
দিলিপ বড়ূয়া বলেন, কৃষি ও বাসাবাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ অনেক এগিয়েছে।