সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে মানবাধিকার কমিশনের সহায়তা চায় জাতীয় কমিটি

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে যে আন্দোলনে দমনপীড়ন হচ্ছে বলে মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটি।একই সঙ্গে সুন্দরবন রক্ষায় ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছে কমিটির নেতারা।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় জাতীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জাতীয় কমিটির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক ডক্টর তানজিমউদ্দীন খান ও মোশাহিদা সুলতানা। বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষে সার্বক্ষণিক সদস্য মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশন সদস্য ডক্টর মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, বঞ্চিতা চাকমা, নূরুন নাহার ওসমানী এবং মো. শরীফ উদ্দীন।
জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও আনু মুহাম্মদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ও সুন্দরবন আন্দোলনে গত কয়েক মাসে সরকারি দমনপীড়নের অভিযোগ করে সেই সম্পর্কে একটি তালিকা দেয়া হয়। এছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে আগামী ২৪-২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

জাতীয় কমিটির লিখিত বক্তব্যে  বলা হয়, সুন্দরবন রক্ষার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে সরকারী দল ও আইন শৃক্সখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে হামলা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। মতপ্রকাশে বাধা দেয়া হচ্ছে, হুমকিসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ছড়িয়ে কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। আগামী দিনগুলিতে দেশের স্বার্থে সুন্দরবন রক্ষায় আমরা যেন শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের মত প্রকাশ করতে পারি, বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারি সে ব্যাপারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বিক সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করছি।