রূপপুর: আর্থিক লেনদেনের উপায় এখনও ঠিক হয়নি

* ইউরেনিয়াম আসবে আগামীবছর * ২য় ইউনিটের চুল্লি স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম ২০২৩ সালে দেশে আসবে। এরআগেই অন্যান্য অবকাঠামো শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি বা নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের আগে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
রুবল ডলার না অন্য কোন উপায়ে রাশিয়ার সাথে লেনদেন হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। এবিষয়ে আলোচনা চলছে।
বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান জানান, রাশিয়া ঋণ দিচ্ছে। আবার রাশিয়া রূপপুরের জন্য যন্ত্র দিচ্ছে। এজন্য কাজ থেকে নেই। কিভাবে আর্থিক লেনদেন হবে তা ঠিক করতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আলোচনা করছে। তারা যেভাবে সমাধান দেবে সেভাবে করা হবে। তবে দুই দেশই দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ বিষয় ঠিক রেখে সমাধানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বুধবার (১৯শে অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন উদ্বোধন করেন।
চুল্লিপাত্রই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূলযন্ত্র, এর মধ্যেই শক্তি উৎপাদন হবে, যা কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হবে বিদ্যুৎ।
২০২১ সালের ১০ই অক্টোবর এর প্রথম ইউনিটের চুল্লি স্থাপন করা হয়। প্রথম ইউনিটের কাজের ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এক বছরের মাথায় দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপন হল।
২০২৩ সাথে প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ হবে। আর ২০২৪ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে। একইভাবে ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শেষ হয়ে ২০২৫ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট করে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ভিভিআর ১২০০+ প্রযুক্তিতে এই কেন্দ্র করা হচ্ছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমান জানান, নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। রাশিয়ার সাথে আর্থিক লেনদেনে কোন সমস্যা হবে না। রুবল না ডলারে বিনিময় হবে তা আলোচনা চলছে। দ্রুতই এবিষয়ে সমাধান হবে।