রূপপুরের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক এস ভি কিরিয়েঙ্কো মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।

শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য পূরণে মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ করতে হবে।

২০১৩ সালের মার্চে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ২০১০ সালে সংসদে প্রস্তাব পাস করা হয়, গঠন করা হয় একটি জাতীয় কমিটি। ওই বছরই রাশিয়ার সঙ্গে একটি কাঠামো চুক্তি করে সরকার এবং ২০১১ সালের নভেম্বরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দুই দেশ চুক্তি করে।

২০১৩ সালের অক্টোবরে পাবনার রূপপুরে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুই হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি ২০২১ সালের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে সরকার।

এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৪ হাজার কোটি টাকা রাশিয়ান ফেডারেশন দেবে প্রকল্প সহায়তা হিসাবে।

ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এগগোচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন রোসাটমের মহাপরিচালক।

ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এবং বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপও করেন।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্ত যথাযথভাবে নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে এস ভি কিরিয়েঙ্কো প্রধানমন্ত্রীকে জানান, এটি স্থাপনের পাশাপাশি রাশিয়া পারমাণবিক বর্জ্যও নিয়ে যাবে।

রূপপুরের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সরকারের পরিকল্পনার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় দেশিয় বিশেষজ্ঞ তৈরিতে রাশিয়ার সহযোগিতার চান শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও মশিউর রহমান, মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইফুল হক এবং বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার এ নিকোলেভ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।