রূপগঞ্জে গ্যাস পাওয়া গেছে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি অনুসন্ধান কূপ খনন করে মাটির নিচের দু’টি স্তরে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স। দু’টি স্তরের মধ্যে উপরের স্তরটির কূপের মুখে আগুন প্রজ্জ্ললন করেছে তারা। কিন্তু এই গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন করা যাবে কিনা তা নিশ্চিত নয় পেট্রোাবাংলা।
এর আগে বাপেক্স এই কাঠামোতে দ্বিমাত্রিক জরিপ করেছিল। গ্যাসের মজুদের বিষয়ে নিশ্চিত হতে এখন তারা সেখানে ত্রিমাত্রিক জরিপ করার পরিকল্পনা করেছে।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর বলেন, দুই স্তরে গ্যাস পাওয়া গেছে। নীচের স্তরটির গ্যাস এখন আমরা উঠাবো না। ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেবো। আর উপরের স্তরের গ্যাস উত্তোলন করা যাবে কিনা সে বিষয়ে এখন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। যদিও কূপের মুখে আগুন প্রজ্জলন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে কিন্তু কি পরিমাণ গ্যাস আছে তা না জেনে এটিকে কোনো গ্যাসক্ষেত্র বলা যাবে না।
গত শনিবার এই ক্ষেত্রেটির আওতাধীন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পূর্বাচল নতুন শহর এলাকায় অবস্থিত ওই কূপে আগুন প্রজ্জ্বলন করা হয়। প্রায় দুই মিটার উঁচু শিখা জ্বলছে বলে জানা যায়। পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, বাপেক্সের দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের পর এখনে অনুসন্ধান কূপ খননের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জরিপের ফল অনুযায়ি, এখানে গ্যাসের মজুদ খুব বেশি নয়। কত তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। ত্রিমাত্রিক জরিপের পর বাপেক্স তা নিশ্চিত করতে পারবে।
বাপেক্স জানায়, প্রায় তিন হাজার ৬০০ মিটার গভীর অনুসন্ধান কূপটির একেবারে নিচের দিকে মাত্র দেড় মিটার পুরু একটি গ্যাসের স্তর পাওয়া গেছে। কূপটির তিন হাজার ৩০০ মিটার গভীরে গ্যাসের আরেকটি স্তর চিহ্নিত করা হয়েছে। সেটি প্রায় ছয় মিটার পুরু। তবে এই ছয় মিটারের বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, এই স্তরে গ্যাসের সঙ্গে ডার্টি স্যান্ড রয়েছে। আপাতত এখান থেকে গ্যাস উঠানো হবে না।
বাপেক্স ২০১০ সালে রূপগঞ্জের ১০৯ লাইন কিলোমিটার এলাকায় দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ করে। আগামী শুষ্ক মৌসুমেই সেখানে ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ করা হতে পারে।