রপ্তানির সুযোগ রেখে সমুদ্রের গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা।

রোববার এই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ৯ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আগ্রহী কোম্পানিকে আবেদন করতে হবে।

বিদেশি কোম্পানির কাছে আকর্ষণীয় করতে নানা সুযোগ সুবিধার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

সমুদ্রে গ্যাস পাওয়া গেলে বিদেশি কোম্পানির অংশ রপ্তানি করতে পারবে। তবে প্রথম অগ্রাধিকার পাবে পেট্রোবাংলা। অর্থাৎ পেট্রোবাংলা নিতে না চাইলে বিদেশি কোম্পানি তার অংশ রপ্তানি করতে পারবে।

গ্যাস অনুসন্ধান উত্তোলন করতে যে খরচ হবে তা প্রথমেই শোধ করা হবে। সেক্ষেত্রে বছরের সর্বোচ্চ ৭৫ ভাগ পর্যন্ত করে দিয়ে শোধ করা হবে।

সমুদ্রে গ্যাস পাওয়া গেলে বিদেশি কোম্পানির জন্য নির্ধারিত একটি অংশ থাকবে। সেই গাছের কোন দাম নির্ধারণ করা হয়নি। এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে যখন যে গ্যাসের দাম থাকবে সে অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে পেট্রোবাংলা কিনে নিতে পারবে।

বিদেশি কোম্পানি যত যন্ত্র আমদানি করবে তার কোনো কর দেয়া লাগবে না। এমনকি বিদেশি কোম্পানি এখানে যে আয় করবে তারও যে কর্পোরেট কর তাও পেট্রোবাংলা দিয়ে দেবে।

অগভীর সমুদ্রে নয়টি ব্লকে বাপেক্সের জন্য ১০ ভাগ করে শেয়ার রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ৯০ ভাগের মালিকানা দেয়া হবে বিদেশি কোম্পানিকে।

সাগরের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ২৪টি ব্লকে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা।

এরমধ্যে অগভীর সমুদ্রের নয়টি ব্লক হচ্ছে, এসএস ০১, ০২, ০৩, ০৫, ০৬, ০৭, ০৮, ১০ ও ১১ নম্বর ব্লক।

গভীর সমুদ্রের ১৫টি ব্লক হচ্ছে, ডিএস ০৮, ০৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১ ও ২২

নম্বর ব্লক।

যে কোম্পানি আবেদন করবে তাকে অবশ্যই তার নিজের দেশে অথবা অন্য কোন দেশে খনন করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

২০২৩ সালের উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তির যে খসড়া করা হয়েছে সে অনুযায়ী এই আবেদন করতে হবে।

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে এর আগে ২০১৬ সালে দরপত্র ডাকা হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে পিএসসি সংশোধন করা হলেও দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হয়নি।