যোগ্য সরবরাহকারির অভাবে প্রিপেইড মিটার বাড়ছে না

যোগ্য সরবরাহকারির অভাবে বিদ্যুতে প্রিপেইড মিটার বাড়ানো যাচ্ছে না। দরপত্র আহবান করেও যোগ্য আবেদনকারি পাওয়া যাচ্ছে না। এরফলে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার বাড়ছে না। এছাড়া এবিষয়ে বিশেষজ্ঞেরও অভাব আছে।
রোববার বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় পাওয়ার সেলের পক্ষ থেকে এই তথ্য দেয়া হয়েছে।
কর্মশালায় জানানো হয়, পিডিবি এবং ওজোপাডিকো’র চট্টগ্রাম প্রকল্কেপ্পর জন্য এক লাখ ৩৯ হাজার ও ৩১ হাজার মিটারের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। কিন্তু এই মিটার সরবরাহ করার জন্য যথাযথ সংখক যোগ্য আবেদন পাওয়া যায়নি।
এই অবস্ট’ায় আগামী পাঁচ বছরে সারাদেশে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে এক কোটি ৩৪ লাখ ৯৭ হাজার ২৭৯টি প্রিপেইড মিটার লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।  বর্তমানে প্রায় দুই কোটি বিদ্যুৎ গ্রাহক আছে। এরমধ্যে মাত্র ৯১ হাজার ৮৮৫টি প্রিপেইড মিটার আছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মিটার আছে পিডিবি’র। পিডিবি’র মোট গ্রাহকের মধ্যে ৫৪ হাজার ৫৫৩টি, আরইবিতে মাত্র দুই হাজার ২৩৯টি, ডিপিডিসিতে ১০ হাজার ৭২১টি, ডেসকোতে ২২ হাজার ৬১৬টি এবং ওজোপাডিকোতে এক হাজার ৭৫৬টি প্রিপেইড মিটার আছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কর্মশালা উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, আগামীতে বেসরকারি খাতের কাছে প্রি-পেইড মিটার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব উম্মুক্ত করে দেয়া উচিত। সবই যে সরকার করবে তা নয়, বেসরকারি খাতকেও এসব বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। প্রি-পেইড মিটারকে কীভাবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া যায় এবং এর সীমাবদ্ধতা কীভাবে উত্তরণ করা যায় তার একটি কার্যকর দিক নির্দেশনা বের করা জরুরী। তিনি বলেন, সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুসারে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হলে দেশব্যাপী প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার করতে হবে। বহু দিন চেষ্টা চলছে প্রি-পেইড মিটার আনার। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অবশ্যই প্রি-পেইড মিটার দেশব্যাপী ব্যবহার করতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছে গেছে। ধীরে ধীরে ২৪ হাজার মেগাওয়াটের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার জরুরি।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় এডিবির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুসি, পিডিবি’র চেয়ারম্যান কে এম হাসান, আরইবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার মঈন উদ্দিনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন।