বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র যথাসময়ে শেষ করার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিদ্যুৎ জ্বালানির চলমান সকল প্রকল্প দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি জ্বালানি তেলের দাম কমানাের বিষয়ে সম্মতি দেন।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানির চলমান কার্যক্রম অবহিত করা হয় প্রধানমন্ত্রীকে। এসময় তিনি যথাসময়ে কাজ শেষ করার তাগিদ দেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম ও জ্বালানি সচিব ড. নাজিমউদ্দিন চৌধুরী দুই বিভাগ বিষয়ে অবহিত করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, পিডিবি’র চেয়ারম্যান শামসুল হাসান মিয়া, ডিপিডিসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) নজরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
বড় কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঢাকায় বিদ্যুতের মাটির নিচে নেয়া, এলএনজি আমদানি, সমুদ্র ও স্থলভাবে গ্যাস অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়। এসব প্রকল্প যথাসময়ে শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি সাক্ষর,  মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অন্য কেন্দ্রগুলোর কাজের অগ্রগতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি বিভাগ তাদের প্রকল্পগুলো আলাদা আলাদা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কয়লাভিত্তিক বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যাতে নির্ধারিত সময়ে উৎপাদনে আসে যে বিষয়ে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে বিদ্যুৎ দিতে চাই। এজন্য বিদ্যুতের পরিকল্পনাগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ হওয়া জরুরী।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়, পায়রা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য চীনের সাথে চুক্তি হয়েছে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি সাক্ষর,  মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অন্য কেন্দ্রগুলোর কাজের অগ্রগতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।
এছাড়া ডিপিডিসর কার্যক্রম তুলে ধরে বলা হয়,  সয়ংসম্পূর্ণ হতে চায় ডিপিডিসি। এজন্য কিছু বাণিজ্যিক বহুতল ভবন করা হবে। এতে নগরীর সৌন্দর্য এবং ডিপিডিসির আয় দুটোই বাড়বে। ডিপিডিসির নিজস্ব জায়গায় এই ভবন করা হবে। নিজস্ব বহুতল ভবন হবে নগরীর ধানমন্ডি, মগবাজার, তেজগাঁও, কাকরাইল, মতিঝিল ও হাতিরঝিলে। এসব ভবনে ডিপিডিসির কার্যালয় করার পাশাপাশি ভাড়া দেয়া হবে। ভবনের নিচে হবে উপকেন্দ্র।
ডিপিডিসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনার্জি বাংলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের বর্তমান কার্যক্রম অবহিত করা হয়েছে। তিনি কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর ফাস্টট্রাক প্রকল্পের মধ্যে আছে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন। বৃহস্পতিবার এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে অনুস্বাক্ষর করেছে। খুব দ্রুত চুড়ান্ত চুক্তি করা হবে। সাগরে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল পরিবহন, সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং স্থাপন নিয়ে  বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।  জ্বালানিখাতের বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে সাগরে ১২.১৬ এবং ২১ ব্লকে অনুসন্ধানে বিশেষ আইনের মাধ্যমে কাজ দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়। আগ্রহী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। খুব শিগগির চুক্তি করা হবে। এছাড়া নতুন পিএসসি করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তাগাদা দেন।
বৈঠকে স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া বাপেক্সের কাজের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয, স্থলভাগে ১০৮টি কূপ খনন করতে যাচ্ছে বাপেক্স।