বিদ্যুৎ বিভ্রাট: দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী

লোডশেডিং এর জন্য ফেইসবুকে দুঃখ প্রকাশ করলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসুরুল হামিদ। বুধবার তার নিজের ফেইসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এক সপ্তাহ যাবৎ ঢাকাসহ চট্টগ্রাম ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষ কষ্ট পাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন। শুক্রবারের মধ্যেই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে তিনি জানান।
ফেইসবুকে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন, নৌযান ও নৌপরিবহনের শ্রমিকেরা এক সপ্তাহ ধরে তাঁদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে ধর্মঘট করেছেন। যার ফলে সারা দেশে নৌপথে জ্বালানি তেল সরবরাহ প্রচণ্ড আকারে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন মারাÍকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রায় ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদিত হচ্ছে। একই সঙ্গে তেল না পাওয়ায় ফসলি জমিতে সেচকাজও স্থবির হয়ে পড়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। বৈঠকে শ্রমিকদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন মালিকেরা। দেশ যখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড করছে এবং জনগণের সেবার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ, তখনই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। আমরা আশা করি, কোনো মহলই তাদের দাবি আদায়ের জন্য সাধারণ মানুষকে জিম্মি করবে না। আমরা আশা করছি, আগামী শুক্রবারের মধ্যেই দেশে বিদ্যুতের অবস্থা স্বাভাবিক হবে।’
এদিকে ছয়দিন পর মঙ্গলবার রাতে নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট স্থগিত করে। কিন্তু বৃহস্পতিবার আবারো ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
গত এক সপ্তাহ বিদ্যুতের লোডশেডিং এর প্রকপ বেড়েছে। একদিকে গরম অন্যদিকে লোডশেডিং এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। নয় হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে গড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বর্তমানে ১০২টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু জ্বালানি সংকট ও বিদ্যুৎকেন্দ্র মেরামতের কারণে প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।