বিদ্যুতে বাড়ানো হলেও জ্বালানিতে কমানোর প্রস্তাব
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে এবার বাজেট কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছর থেকে এবার সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা কমানো হচ্ছে। তবে জ্বালানিতে বরাদ্দ কমানো হওয়ায় সংকট মেটানো মেটানো কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রাথমিক জ্বালানি ঘাটতিতে যখন দেশ, জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না, উদ্বৃত্ত বা অলস পড়ে থাকছে বিদ্যুৎকেন্দ্র, তখন আবার সেই বিদ্যুতেই বরাদ্দে বেশি রাখা হচ্ছে। আর কমানো হচ্ছে গ্যাস অনুসন্ধান বা প্রাথমিক জ্বালানি সংস্থানে।
২০২৪-২৫ অর্থবছর বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। যা চলতি বছর আছে ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। ৪ হাজার ৫০২ কোটি টাকা কমানো হচ্ছে।
উন্নয়ন বাজেটে খাতভিত্তিক বরাদ্দ হিসেবে পরিবহন ও যোগাযোগের পরে, অর্থাৎ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানিতে। যা মোট বরাদ্দের ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ।
চলতি বছর বিদ্যুতে বাড়ানো হলেও জ্বালানিতে কমানো হয়েছে। বিদ্যুতে এবার বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এখন আছে ২৭ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। প্রায় দুই হাজার ৫৫ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।
জ্বালানিতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকা। এখন আছে ১ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। কমানো হয়েছে ৮৭ হাজার কোটি টাকা।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য রেখে এবার বাজেট দেয়া হয়েছে। জ্বালানিতে বরাদ্ধ কমিয়ে এই প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়ন সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে যে দেনা শোধ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে তাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য পূরণে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।