বিদ্যুতের খসড়া মহাপরিকল্পনা: কয়লার ব্যবহার বাড়াতে হবে

কম দামে বিদ্যুৎ পেতে কয়লার ব্যবহার বাড়াতে হবে। কমাতে হবে গ্যাসের। মোট উৎপাদনের ৩৫ ভাগ কয়লা ও ৩৫ ভাগ গ্যাস দিয়ে করতে হবে। বাকি ৩০ ভাগ আনতে হবে পারমাণবিক, পানি, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আমদানি, তেল এবং নবায়নযোগ্য উৎস থেকে।
বিদ্যুৎ খাত মহাপরিকল্পনার (পিএসএমপি) খসড়ায় এই প্রস্তাব করা হয়েছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সি (জাইকা) এই খসড়া তৈরী করেছে।
শনিবার বিদ্যুৎভবনের বিজয় হলে খসড়া উপস্থাপন করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নে এই খসড়া তৈরী করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদেও মতামত নিয়ে এটা চ’ড়ান্ত করা হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এভাবে জ্বালানির ব্যবহার করলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দেশে কয়লা উত্তোলন করতে হবে।
বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি মিকিও হাতায়েদা বলেন, উন্নয়শীল দেশেগুলোর জন্য পরিবেশ সংরক্ষণের মতোই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জ্বালানি নিরাপত্তা সমান গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিদ্যুৎ যেমন দরকার, তেমনি তার দামও সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা প্রয়োজন। তা ছাড়া প্রযুক্তি উন্নয়নের কারণে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন অনেক কম ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, সরকার উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দেশের কয়লা তোলার সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাই পিএসএমপিতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে দুটি বিষয় যোগ করতে হবে। শুধু আমদানি করা কয়লাকেন্দ্রিক। অন্যটি আমদানি ও দেশের কয়লা ব্যবহারকেন্দ্রিক।
বিদ্যুৎসচিব মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত খসড়া উপস্থাপন সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, বিইআরসির চেয়ারম্যান এ আর খান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ ও বিভিন্ন সংস্থার প্রধানেরা বক্তব্য দেন। পরে খসড়াটি নিয়ে একটি কারিগরি অধিবেশন হয়।