নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে সবকিছু চূড়ান্ত

বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন - এনার্জি বাংলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, ৯ মে, ২০২৪:

নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট দেওয়া এবং এ দুই দেশ থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে ভারত।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনাসহ দ্বিপাত্রিক স্বর্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

পরে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। বিদ্যুতের দাম নিয়েও আলোচনা অনেকটা চূড়ান্ত। ক্রয় কমিটিতে যাবে। সেটি হলে ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারব।

মন্ত্রী বলেন, তিস্তায় আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী একটি বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছি- যেখানে ভারত বিনিয়োগ করতে চায়।

কানেক্টিভিটি নিয়ে এবং বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা সহজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশের ১৬ থেকে ১৭ লাখ মানুষের জন্য ভিসা ইস্যু করে ভারত। বিশ্বে সর্বোচ্চ ভিসা ভারত ইস্যু করে বাংলাদেশিদের জন্য। অনেক সময় ভিসা পেতে বিলম্ব হয়। সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, বাংলাদেশে ভারতীয় মিশনের ভিসা কার্যক্রমকে সহজতর এবং মিশনের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তারা আরও লোকবল নিয়োগ করবেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে  উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ার কথা আলোচনা করেছি, অনলাইনে আবেদনের কথা বলেছি যেন সহজে মানুষ ভিসা পায়। তারা বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে দেখছেন।’

কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আমরা ফিজিক্যাল কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা করেছি। সেটা অনেক দূর এগিয়েছে।

বৈঠকে সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নন-লেথাল (প্রাণঘাতী নয়) এমন অস্ত্র ব্যবহার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছি। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন, তারা তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। এটি নিয়ে দুই দেশের সরকারি ও রাজনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনেক আগে থেকে ভারত সফরের কথা রয়েছে। ভারতে যেহেতু নির্বাচন, সেটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কখন সফর হবে, সেটি নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভারতে নির্বাচনের পর সরকার গঠন হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রীর সফর কখন হবে, সেটা ঠিক হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আন্তরিক ও সৌদাহ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক ও অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে, যে সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।’