জ্বালানি সুবিচার চাই
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আইএমএফ দাম বাড়িয়ে শুধু ভর্তুকি তুলে দিতে বলছে কিন্তু কীভাবে কেন খরচ বাড়লো তা দেখছে না।
‘অসাধু বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবসা সুরক্ষায় মূল্যবৃদ্ধি নয়: জ্বালানি সুবিচার চাই’ শিরোনামে সংবাদ সম্মেলন করে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে ১৩ দফা উপস্থাপন করে সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় জ্বালানির দাম ঠিক করার দাবি জানায় ক্যাব। আইএমএফ ন্যায় সঙ্গত পরামর্শ দেবে আশা করেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা হলে, দুর্নীতি কমালে বিদ্যুৎ জ্বালানির আর দাম বাড়ানো প্রয়োজন হবে না। মূল্য বৃদ্ধি না করে প্রতিযোগিতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, স্বচ্ছতা আনা আর অব্যবস্থাপনা দূর করলে ভর্তুকি প্রয়োজন হবে না। বিদ্যুৎ জ্বালানির দাম ও বাড়ানো লাগবে না।
সূচনা বক্তব্যে ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ভর্তুকি কমানোর দুটো উপায়। দাম বাড়িয়ে আর অপচয় অব্যবস্থাপনা অসচ্ছতা দূর করে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে স্বেচ্ছাচারিতা বেড়েছে। প্রতিযোগিতা কমেছে। অব্যবস্থাপনা দূর করা উচিৎ। বিদ্যুৎ জ্বালানি বাণিজ্যিক কার্যক্রম কিনা প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই খাত সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি। এখাতকে বাণিজ্যিক বিবেচনা করা যাবে না। তিনি সুবিচার দাবি করেন ।
অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি একটি স্ট্রাটেজিক পণ্য একে বেসরকারি লাভজনক পণ্য বিবেচনা করা ঠিক হবে না। প্রাইভেট নয় সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় জ্বালানির দাম ঠিক করতে হবে। বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে যত চুক্তি হয়েছে তা সংসদে আলোচনার জন্য উপস্থাপনের দাবি জানিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাড়ানোর পরামর্শ দেন।আইএমএফ এর ভর্তুকি তুলে দেওয়ার পরামর্শের সমালোচনা করেন।
অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, আইএমএফ যা বলছে, প্রধানমন্ত্রী যা বলছে তাই হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে যা খরচ হয় তাই দেব। কিন্তু অপচয়ের দাম কেন দেব?
জ্বালানি নেই তাও বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন করা হলো প্রশ্ন রাখেন তিনি। বলেন, ঠিক মত করতে পারলে, অনিয়ম বন্ধ হলে দাম বাড়ানো লাগতো না। অনিয়মের দায়ভার আমাদের উপরে এসে পড়েছে। সবকিছু স্বচ্ছ হতে হবে।
অধ্যাপক ড. শামসুল আলম ১৩ দফা উপস্থাপন করে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত উন্নয়নে প্রতিযোগিতাবিহীন বিনিয়োগ আইন দিয়ে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
অব্যবস্থাপনা দূর হলে; স্বচ্ছ, জবাবদিহি ও দুর্নীতি না থাকলে বিদ্যুৎ জ্বালানির দাম বাড়ানো লাগবে না বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।